Pages

hv‡`i Kv‡Q K…ZÁ : Avgv‡`i ewikvj / ˆ`wbK c~e©vPj / Avgv‡`i mgq WUKg /
†iRvë ‡`wL‡Z PvB‡j GLv‡b wK¬K K‡iv

Wednesday, May 11, 2011

May Date - (01-10)

গৌরনদীতে ছাত্রী উত্যক্তকারীকে ভ্রাম্যমান আদালতের কারাদন্ড ও জরিমানা
Posted: 01 May 2011 10:12 AM PDT

বরিশাল, ১ মে (আমাদের বরিশাল ডটকম ডেস্ক): গৌরনদীতে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় ভ্রাম্যমান আদালত এক উত্যক্তকারীকে ১ বছর কারাদন্ড এবং অপর তিন উত্যক্তকারীকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেছেন। আজ রবিবার গৌরনদী থানা পুলিশের সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ দন্ড ও জরিমানা প্রদান করেন।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সানজিদা ইসলাম সুমি (১৪) নামে সপ্তম শ্র্রেনীর এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে বাচ্চু বেপারী (১৮), রোয়েল বেপারী (১৪), রাজিব বেপারী (১৭), মোঃ সোহেল (১৮)। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে আজ রবিবার ভ্রাম্যমান আদালত আসামী বাচ্চু বেপারী (১৮) কে ১ বছর কারাদন্ড এবং অপর তিনউত্যক্তকারীকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন।

অপহরণের ১০ দিন পর ডুমুরিয়ার এক স্কুল ছাত্রী কেশবপুর থেকে উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডুমুরিয়া(খুলনা) অপহরণের ১০ দিন পর গত  রোববার ডুমুরিয়া পুলিশ এক স্কুল ছাত্রীকে কেশবপুর উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে।
 
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল সকালে পাইকগাছা উপজেলার মাহমুদকাটি গ্রামের পূর্বপরিচিত পলাশ দাস ওরফে নাটো ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের ঋষিপাড়ার ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায়।  ঘটনায় ২৩ এপ্রিল মেয়ের বাবা বাদী হয়ে জনকে আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় অপহরণ মামলা করেন। গত রোববার পুলিশ  কেশবপুর উপজেলা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া  মেয়েটি গতকাল সোমবার ডুমুরিয়া থানায় দাঁড়িয়ে বলেন, পূর্ব পরিচিত পলাশ আমারে বিয়ের কথা বলে ডুমুরিয়া থেকে নিয়ে  যেয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছে বুঝতে পেরে আমি চিকার করে কান্নাকাটি করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।
 
প্রসঙ্গে উপ-পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়রা উপজেলা থেকে আসামি রম্নপ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করার পর তার স্বীকারোক্তিতে মেয়েটিকে কেশবপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে

কলারোয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু


নিজস্ব সংবাদদাতা॥

কলারোয়া(সাতক্ষীরা): কলারোয়ায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, ওই গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে পিতার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গৃহবধূর নাম তাছলিমা খাতুন (২৫) গত রোববার উপজেলার খাসপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।


পুলিশ
গ্রামবাসি সূত্র জানান, উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মোসলেম গাজীর  মেয়ে তাছলিমা খাতুন বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী খাসপুর গ্রামের শওকত আলির সাথে। স্বামী শওকত আলি পেশায় একজন ভ্যান চালক। বিয়ের পর সে থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলো। স্ত্রী তাছলিমা খাতুন তার বাবার বাড়ি থেকে  যৌতুকের টাকা আনতে না পারায় তার ওপর নেমে আসতো অমানুষিক নির্যাতন। গত রোববার সকাল টার দিকে স্বামী শওকত আলি ফের যৌতুকের টাকা দাবি করে তাছলিমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে। বিষাদময় পরিসিতি থেকে চিরমুক্তি পেতে তাছলিমা খাতুন বিষপান করে। পরে তাকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়। তাছলিমার পিতার অভিযোগ, তার মেয়েকে পিটিয়ে মেরে ফেলে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশ ঘটনাস পরিদর্শন শেষে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে

মোল্লাহাটে গৃহবধূর উপর হামলা শ্লীলতাহানি, জনের বিরদ্ধে মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা

মোলস্নাহাট(বাগেরহাট)- মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল  গ্রামে তরুণ দত্ত ওরফে কাজল স্ত্রী শিবানী রানীকে মারপিট করে আহত করেছে প্রতিপড়্গ। সময় শিবাণী রানীর শসনীলতাহানিসহ তার ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের চেন ছিনতাই হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরধরে ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ এলাকাবাসী জানায়, কাজ দত্ত শিবানী রানীকে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে প্রথম স্ত্রী মালতি রাণীর সাথে কলহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মীমাংসাকে কেন্দ্র করপ্রতিবেশী নির্মল দত্ত, গোপাল মিত্র রবীন দত্তসহ / জন ব্যক্তি ষড়যন্ত্র শুরম্ন করে এবং কলহ লাগিয়ে রাখে।
 
গত
শনিবার দুপুর ১২টায় উলিস্নখিত ব্যক্তিরা সম্মিলিতভাবে  কাজল দাত্তের  ঘরে ঢুকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিবানীকে মারপিট শুরম্ন করে তারা শস্নীলতাহানি ঘটানহয়। সময় কাজল ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করে আহত করা হয় এবং তার মটর সাইকেলের চাবি নিয়ে যায়। হামলাকারীরা শিবানীর গলা  থেকে ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়।
 
ব্যাপারে কাজল বাদী হয়ে শনিবার জনকে আসামী করে মোলস্নাহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-২০


আগৈলঝাড়ায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা, ধর্ষক গ্রেফতার
Posted: 03 May 2011 09:16 AM PDT

ধর্ষণ
আগৈলঝাড়া, ৩ মে (সাঈদুর রহমান স্বপন/আমাদের বরিশাল ডটকম): বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ৮ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ য়টনায় থানায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সেরাল গ্রামের দরিদ্র কৃষকের মেয়ে দক্ষিণ গৈলা গ্রামে নানা বাড়িতে থেকে গৈলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করত। গতকাল সোমবার রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে ওই ছাত্রী একই বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঘরে কুপি ধরাতে গেলে আলাম আকনের বখাটে ছেলে শাওন আকন (২২) ঝাপটে ধরে মুখ বেধে ধর্ষন করে রক্তাক্ত করে। বাড়ির লোকজন টেরপেয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেয়া হয়। রাতেই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২০০০ (সংশোধিত) ০৩ এর ৯(১) ধারায় শাওনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন, যার নং ৪ (০৩/০৫/২০১১)।

আজ মঙ্গলবার ধর্ষককে আগৈলঝাড়া উপজেলার রামেরবাজার নামক স্থান থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই জসিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গ্রেফতার করেন। ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আজ বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৭০ বছরের বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদন্ড


॥ সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ॥

৮ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ৭০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামী খন্দকার অমেদ আলী (৭০) পলাতক রয়েছে। সে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। গতকাল বুধবার সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এফএম রেজানুর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত রায়ে আসামীকে যাবজ্জীবন সাজা ছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর সকালে খাবার কিনে দেয়ার নাম করে সাতক্ষীরার পাকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ৮ বছর বয়সী মেয়েকে প্রতিবেশী আসামী খন্দকার অমেদ আলী তার বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে শিশুটির মা জোহরা খাতুন এসে রক্তাক্ত অবস’ায় মেয়েকে উদ্ধার করে। এঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারী মামলার তদনত্ম কর্মকর্তা এস.আই আব্দুল হক ধর্ষক অমেদ আলীর বিরম্নদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত ১৩ জন সাক্ষী ও মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আসামীর বিরম্নদ্ধে উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। আসামী দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে পলাতক রয়েছে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদা আক্তার বানু।


২০০১ সালের নির্যাতন: গণধর্ষণের মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জ, মে ০৪।

২০০১ সালের নির্বাচনের পর সিরাজগঞ্জের এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের দায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। ঘটনার ১০ বছর পর বুধবার সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক ওসমান হায়দার এ মামলার রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল জলিল (৪০), আলতাফ হোসেন (৩৫), আব্দুল মোমিন (২৮), আলতাফ হোসেন-২ (২৮), জহুরম্নল ইসলাম (২৮), হোসেন আলী (২৮), লিটন শেখ (২৮), ইয়াছিন আলী (৩৭), আব্দুর রউফ (৪০), আব্দুল মিয়া (২৮), বাবলু মিয়া (২৮)। কারাদন্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করেছে আদালত। এদের মধ্যে পাঁচ জন পলাতক। তারা হলেন- মোমিন, আলতাফ-২, জহুরম্নল, আব্দুল মিয়া ও বাবলু। অন্য ছয় জনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

বিডিনিউজ জানায়: ২০০১ সালে নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু ও ভিন্ন রাজনৈতিক মতের মানুষের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়, তারই ধারাবাহিকতায় ৮ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের উলস্ন্লাপাড়া উপজেলার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা রানীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় পূর্ণিমার বাবা অনিল শীল ১০ অক্টোবর উলস্ন্লাপাড়া থানায় মামলা করতে যান। কিন’ আসামিরা বিএনপিদলীয় নেতাকর্মী হওয়ায় পুলিশ মামলা নিয়ে টালবাহানা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে ২৪ অক্টোবর পূর্ণিমা নিজেই সিরাজগঞ্জের আমলি আদালতে ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।


কলাপাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা, গ্রেফতার ১
Posted: 05 May 2011 09:17 PM PDT

ধর্ষণ
পটুয়াখালী, ৬ মে (সঞ্জয় কুমার দাস/আমাদের বরিশাল ডটকম): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের পর দিনভর আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে লম্পটরা। কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এক দিন পর ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বুধবার রাতে কলাপাড়া থানায় প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা শাহজাহান মুন্সী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে বুধবার রাতে কলাপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ রুবেল গাজী (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। অপরদিকে ধর্ষীতার ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে।


পুলিশ সূত্রে ও মামলার এজাহারে জানা যায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার পশ্চিম খাঁজুরা গ্রামের দিন মজুর শাহজাহান মুন্সীর কিশোরী মেয়েকে বাড়ীতে রেখে সোমবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে বাগদা চিংড়ির রেনু আহরনে যায়। এ সময় একই এলাকার বাদশাহ গাজীর ছেলে রুবেল গাজী (২২) ও আবদুল মজিদ হাওলাদারের ছেলে দুলাল (৩০) ওই কিশোরীকে বাড়ীতে একা পেয়ে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে মৎস্যবন্দর আলীপুরের সেরাজ মোল্লার বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে লম্পটরা পালাক্রমে ধর্ষন করে আটকে রাখে। গত মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়দের সহায়তায় মহিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আবুল কাশেম কিশোরীকে উদ্ধার করে কলাপাড়া থানায় প্রেরন করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শফিকুল ইসলাম আমাদের বরিশাল ডটকমকে জানান, মামলার পর পরই পুলিশ রুবেল গাজীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। অপর আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।


বরগুনায় বিয়ের নামে ১ বছর ধরে ধর্ষন ও প্রতারণাঃ ধর্ষকের বিচার দাবী
Posted: 05 May 2011 03:28 AM PDT

বিধবা মা সঙ্গীতা রানী

মেয়েকে ধর্ষণ ও প্রতারনার বিচার দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন বিধবা মা সঙ্গীতা রানী (ছবিঃ আমাদের বরিশাল ডটকম)

বরগুনা, ৫ মে (মনির হোসেন কামাল/আমাদের বরিশাল ডটকম): প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বরগুনার আমতলী উপজেলার বেহালা গ্রামের পিতৃহীন যুবতীকে (২১) গত ১ বছর ধরে ধর্ষন করা হয়েছে। তাকে ধর্ষন ও প্রতারনার অভিযোগে বরগুনা সদর উপজেলার দক্ষিন হেউলীবুনিয়া গ্রামের রবীন্দ্রনাথ হাওলাদারের ছেলে বিশ্বজিৎ ওরফে কালাসহ ৩ জনকে আসামী করে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার রাতে বেহালা গ্রামের সঙ্গীতা রানী বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ২ বছরের কন্যা সন্তান রেখে তার স্বামী  সুরেশ চন্দ্র মিস্ত্রী ১৯ বছর আগে মারা যান। দারিদ্রতার কারনে তিনি তার মেয়েকে নবম শ্রেনীর পরে আর পড়াতে পারেননি।

ধর্ষিতা যুবতী জানান, গত ২ বছর আগে বিশ্বজিতের সাথে তার পরিচয় হয়েছে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত (২০১০) বছরের ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্বজিৎ চন্দ্র সূর্য্য সাক্ষী রেখে তাকে বিয়ে করার কথা বলে স্বামী-স্ত্রী রূপে মেলামেশা শুরু করে। সেই থেকে যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষন করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল হেউলীবুনিয়া ব্রীজ সংলগ্ন হেপী বেগমের বাসায় তাদের দুজনকে এলাকাবাসী আপত্তিজনক অবস্থায় আটক করে পুলিশে খবর দেয়। বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক বনি আমিন তাদেরকে থানায় নিয়ে আসলেও বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

পরবর্তীতে বিয়ে করতে অসম্মতি জানালে যুবতি নিজেই বাদী হয়ে বিশ্বজিৎ, তার বাবা রবীন্দ্রনাথ হাওলাদার ও যুগল চন্দ্র হাওলাদারকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। যুবতী ও তার মা দাবী করেন, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদেরকে আসামীরা হত্যা করার হুমকী দিচ্ছে। তারা জীবনের নিরাপত্তাসহ বিচার দাবী করছেন।


ভোলার তজুমদ্দিনে প্রেমিকের বাড়িতে এসে এক কিশোরীর আত্মহত্যা
Posted: 06 May 2011 03:32 AM PDT

তজুমদ্দিন, ৬ মে (এম নুরুন্নবী/আমাদের বরিশাল ডটকম): ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে প্রেমিকের বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেছে রুবিনা (১৪) নামের এক কিশোরী। এ ব্যাপারে তজুমদ্দিন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।

স্থানীয় ও থানা সূত্র জানায়, উপজেলার সোনাপুর সৃষ্টিধর গুহ গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে রুবিনা (১৪) এর পার্শ্ববর্তী শাজাহান সরদারের ছেলে আমজাদ হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন মন দেয়া নেয়া চলছিল। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হবার কথাও ছিল। হঠাৎ করে গত ২/৩ দিন পূর্বে আমজাদ ও তার পরিবার অন্যত্র মেয়ে দেখে এ্যানগেজমেন্ট করে। এ খবর কিশোরী রুবিনা সহ্য করতে না পেরে প্রেমিক আমজাদ হোসেনের বাড়িতে এসে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গাছের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

তজুমদ্দিন থানার এসআই আঃ রহিম আমাদের বরিশাল ডটকমকে জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পোষ্টমর্টেমের জন্য ভোলা মর্গে পাঠান। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার তজুমদ্দিন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ৩।


বোনকে হত্যার পর ভাইয়ের আত্মসমর্পণ

ঢাকা, মে ০৬।- রাজধানীর মাদারটেকে বোনকে কুপিয়ে হত্যার পর সবুজবাগ থানায় আত্মসমর্পণ করেছে এক কলেজ ছাত্র। শুক্রবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম রেখা আক্তার (৩৫)। তিনি ৮ বছর আগে ধর্মানত্মরিত হয়ে মুসলমান হন। তার স্বামী কামরম্নল ইসলাম সুমন সিঙ্গাপুর প্রবাসী।

বিডিনিউজ জানায়: সরকারি নজরম্নল কলেজের স্নাতক সম্মান শ্রেণীর ছাত্র মিঠুন বালাকে সবুজবাগ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেন জানান, শুক্রবার ভোর রাত ২ টার দিকে মিঠুন মাদারটেকে একটি ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে রেখাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। রেখাকে হত্যার পর মিঠুন ঘটনাটি বাড়ির মালিকের পুত্রকে জানায় এবং পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করাতে বলে। পুলিশ রাত ৩টার দিকে ওই বাসা থেকে রেখার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।এসআই মোক্তার হোসেন বলেন, “অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে মিঠুন বোনকে হত্যা করেছে বলে পুলিশকে জানায়।” রেখার মাথায় কোপের চিহ্ন রয়েছে। তার বাবার নাম জীতেন বালা। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের বানিয়ার চরে।


বরিশালে যৌতুক ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
Posted: 07 May 2011 10:38 AM PDT

বরিশাল, ৭ মে (আমাদের বরিশাল ডটকম ডেস্ক): বরিশালের সদর উপজেলার আস্তাকাঠী গ্রামে আয়শা বেগম নামের এক গৃহবধূ যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। একটি দামী নতুন মোবাইল সেট যৌতুকের দাবীতে এ গৃহবধুকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আজ শনিবার সকালে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন এক সন্তানের জননি আয়শা বেগম। আয়শার পরিবারের দাবী, আয়শাকে জোর করে বিষপান করানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আয়শার স্বামী আলমগীর মিয়া পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৪ বছর পূর্বে বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের আস্তাকাঠীর ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানিক হাওলাদারের মেয়ে আয়শার সাথে বিয়ে হয় পাশ্ববর্তি ৮ নং ওয়ার্ডের মঞ্জুর আলীর ছেলে আলমগীরের। বিয়ের পর আয়শার সুখের জন্য পিতাকে তার মেয়ে জামাতাকে একধিকবার যৌতুক দিতে হয়। আর কখনো যৌতুক দিতে বিলম্ব হলেই আয়শার উপর চলে অকথ্য নির্যাতন।
সর্বশেষ গত এক মাস ধরে আলমগীর মিয়া তার স্ত্রী আয়শার পরিবারের কাছে একটি দামি মোবাইল সেট দাবী করে। আয়শার পরিবার থেকে একটি মোবাইলও কিনে দেয়া হয়। কিন্তু মোবাইলটি কম দামী হওয়ায় গত ২ দিন পূর্বে আয়শাকে মারাধর করে ঘর থেকে বেড় করে দেয়া হয়। আয়শা তার পিতার ঘরে ওঠলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা এ নিয়ে শালিস বৈঠক করেন এবং আয়শাকে তার স্বামীর ঘরে উঠিয়ে দেয়া হয়। এরপরও যৌতুক লোভী স্বামী আলমগীর তার স্ত্রীকে মারধর করে। তাই স্বামীর নির্যাতন থেকে পরিত্রান পেতে আজ শনিবার সকালে বিষ পান করে আয়শা। তাকে বেলা ১১টায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সে মারা যায়।
এদিকে মৃত আয়শার পরিবারের দাবী, আয়শাকে জোর করে বিষপান করানো হয়েছে। পাশাপাশি আয়শার মরদেহ দেখতে তার স্বামীর বাড়ীর কেউই আসেনি। একই সাথে ঘটনার পর স্বামীও পলাতক রয়েছে বলে জানাগেছে।



gv¸ivq wkï al©‡Yi `v‡q hve¾xeb Kviv`Û
†g 09, 2011, †mvgevi : ˆekvL 26, 1418


g„wËKv mvnv: cvuP eQ‡ii wkï‡K al©‡Yi `v‡q AvR `ycy‡i gv¸ivq ˆmq` evejy †nv‡mb (45) bv‡g GK e¨w³i hve¾xeb Kviv`Ê n‡q‡Q|bvix I wkï wbh©vZb `gb U«vBey¨bv‡ji wePviK AwZwi³ `vqiv RR gywReyi ingvb `ycyi 2Uvi w`‡K G ivq †`b| mvRvcÖvß evejy m`i Dc‡Rjvi RM`j BDwbq‡bi ˆmq` i“cvwU MÖv‡gi wjqvKZ Avjxi †Q‡j| miKvi c‡¶i mnKvix †KŠumywj (Gwcwc) ˆmq` wd‡ivRyi ingvb Rvbvb, 2008 mv‡ji 29 Ryb we‡K‡j evejy Zvi GK cÖwZ‡ekxi cvuP eQ‡ii Kb¨vwkï‡K PK‡jU †`Iqvi cÖ‡jvfb †`wL‡q †Rvic~e©K al©Y K‡i| †m mgq wkïwUi wPrKv‡i GjvKvevmx NUbv¯’‡j G‡m Zv‡K D×vi K‡i gv¸iv m`i nvmcvZv‡j fwZ© K‡i| NUbvi ciw`b wkïwUi gv ev`x n‡q evejy‡K Avmvwg K‡i gv¸iv m`i _vbvq gvgjv `v‡qi K‡ib| c‡i cywjk Zv‡K †MÖßvi K‡i| c‡i wPwKrmv cÖwZ‡e`b I mv¶¨ cÖgv‡Yi wfwˇZ wePviK Avmvwgi Dcw¯’wZ‡Z G `Êv‡`k †`b| evsjvwbDR


MvBevÜvq ¯^vgx Lyb, ¯¿x AvUK
†g 09, 2011, †mvgevi : ˆekvL 26, 1418

Avey †nbv Zvm‡gix: MvBevÜvq ¯¿xÕi QywiKvNv‡Z ¯^vgx Avwgbyj Bmjv‡gi (28) g„Zz¨ n‡q‡Q| MZiv‡Z MvBevÜvi evw`qvLvjx BDwbq‡bi PK ei“j MÖv‡g G NUbv N‡U| AvR mKv‡j cywjk wbn‡Zi jvk D×vi K‡i ¯¿x wgbviv †eMg‡K (25) AvUK K‡i‡Q| cÖZ¨¶`k©xiv Rvbvq, A‰bwZK KvR I mvsmvwiK welq wb‡q `xN©w`b hveZ ¯^vgx Avwgbyj Bmjv‡gi m‡½ ¯¿x wgbviv †eM‡gi Ø›Ø^ P‡j AvmwQj| GiB †Ri a‡i MZiv‡Z ¯¿x weQvbvq Nygš— Ae¯’vq aviv‡jv QywiKvNv‡Z ¯^vgx‡K nZ¨v K‡i| MvBevÜv _vbvi fvicÖvß Kg©KZ©v gwkDi ingvb Rvbvb, G e¨vcv‡i _vbvq gvgjv n‡q‡Q| jvk D×vi K‡i g‡M© cvVv‡bv n‡q‡Q| kxl© wbDR




রাজাপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবন্দি করে এক সন্তানের জননীকে নির্যাতনঃ ঘরের তালা ভেঙ্গে উদ্ধার
Posted: 09 May 2011 11:53 AM PDT

রাজাপুর, ১০ মে (রহিম রেজা/আমাদের বরিশাল ডটকম): ঝালকাঠির রাজাপুরের হাইলাকঠি গ্রামের এক সন্তানের জননী নাজমিন আক্তার (২২) কে গৃহবন্দি করে নির্যানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাজমিনের মা রাশিদা বেগম এ ব্যাপারে ঝালকাঠি কোর্টে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কোর্টের নির্দেশে গতকাল সোমবার সকালে রাজাপুর থানা পুলিশ ঘরের তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাংগর গ্রামের মোঃ দুলাল হাওলাদারের মেয়ে নাজমিনের সাথে হাইলাকাঠি গ্রামরে মকবুল খাঁর ছেলে সুমন খাঁর সাথে সাড়ে ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বর্তমানে নাজমিনের ৯ মাস বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে নাজমিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে গৃহবন্দি করে অমানুষিক নির্যাতন করে পাসন্ড স্বামী সুমন ও তার পরিবারের লোকজন।
নাজমিনের মা রাশিদা বেগম এ ব্যাপারে ঝালকাঠি কোর্টে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কোর্টের নির্দেশে গতকাল সকালে রাজাপুর থানার এসআই সৈয়দ সেকান্দারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে ঘরের তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার এসআই সৈয়দ সেকান্দার জানান, কোর্টের নির্দেশে তাকে উদ্ধার করে কোর্টে প্রেরণ করেছি। তবে সুমন ও তার পরিবারের কাউকে বাড়িতে পায়নি পুলিশ।

0 comments:

Post a Comment