Pages

hv‡`i Kv‡Q K…ZÁ : Avgv‡`i ewikvj / ˆ`wbK c~e©vPj / Avgv‡`i mgq WUKg /
†iRvë ‡`wL‡Z PvB‡j GLv‡b wK¬K K‡iv

Saturday, June 11, 2011

09-06-2011

wjweqvq MYal©‡Yi wb‡`©k w`‡qwQ‡jb MvÏvwd : cÖwmwKDUi

†eby m~Îai: wjweqvi †bZv gyqv¤§vi MvÏvwd MYal©‡Yi Ges bvix‡`i Ici nvgjv Pvjv‡Z †mbv‡`i DrmvwnZ Ki‡Z †hŠb DÏxcK Ilya †Kbvi wb‡`©k w`‡qwQ‡jb| GB Awf‡hv‡Mi ¯^c‡¶ Z`‡š— mv¶¨-cÖgvY cvIqv †M‡Q| Avš—R©vwZK Aciva Av`vj‡Zi (AvBwmwm) cÖavb cÖwmwKDUi jyBm †gvwi‡bv-IKvg‡cv e‡j‡Qb, bZzb mv¶¨-cÖgvY cvIqvi ci wZwb MvÏvwdi wei“‡× MYal©‡Yi wb‡`©k †`qvi Awf‡hvM `v‡q‡ii AvnŸvb Rvbv‡eb| wZwb e‡jb, wjexq †bZv, Zvi GK cyÎ I †Mv‡q›`v cÖav‡bi wei“‡× gvbZv we‡ivax Aciv‡ai Awf‡hvM `v‡q‡ii Aby‡iv‡ai  †cÖw¶‡Z wePviKMY K‡qKw`‡bi g‡a¨ G wel‡q wm×vš— †`‡eb e‡j wZwb aviYv Ki‡Qb| †gvwi‡bv-IKvg‡cv mvsevw`K‡`i e‡jb, ÔGLb Avgiv Z_¨ cvw”Q †h, MvÏvwd wb‡RB al©‡Yi wm×vš— wb‡qwQ‡jb|Õ wZwb Rvbvb, wjweqvi wKQy GjvKvq K‡qKkÕ bvixi Ici nvgjvi Lei cvIqv †M‡Q| GQvov wjexq KZ©„c¶ miKv‡ii al©Y bxwZi ev¯—evq‡b †hŠb DÏxcK ÔfvqvMÖv RvZxqÕ Ilya wK‡b †mbv‡`i gv‡S eÈb KiviI cÖgvY cvIqv †M‡Q| wZwb e‡jb, ÔZviv bvix al©‡Yi m¤¢vebv †Rvi`v‡i †hŠb DÏxcK Ilya †K‡b|Õ MvÏvwd miKvi ivR‰bwZK we‡ivax‡`i wei“‡× A¯¿ wn‡m‡e e¨env‡i al©‡Yi wb‡`©k w`‡q‡Q Av‡M G ai‡bi †Kvb Z_¨ Rvbv hvqwb| Z‡e †gvwi‡bv-IKvg‡cv Rvbvb, wjexq †bZv †h al©‡Yi wb‡`©k w`‡q‡Qb G ai‡bi Z_¨ Zvi Kv‡Q Av‡Q| MZ gv‡P© GK wjexq bvix w·cvwji GKwU †nv‡U‡j cÖ‡ek K‡i, MvÏvwdi †mbv‡`i wei“‡× Zv‡K al©Y Kivi Awf‡hvM K‡ib| G Awf‡hvM K‡i wZwb Avš—R©vwZK msev` gva¨‡gi wk‡ivbvg nb| Bgvb Avj-I‡eB`x bv‡gi G gwnjv‡K AvUK Kiv nq| wZwb cvwj‡q KvZvi hvb| Zv‡K KvZvi †_‡K wjweqvi †ebMvwR‡Z †dir cvVv‡bv nq| wZwb eZ©gv‡b †ivgvwbqvq GKwU kiYv_x© †K‡›`Ö Ae¯’vb Ki‡Qb| AvBwmwm cÖavb †gvwi‡bv-IKvg‡cv MZ gv‡m MvÏvwd I Zvi cyÎ mvBd Avj-Bmjvg Ges †Mv‡q›`v cÖavb Ave`yj­vn Avj mvbymxi wei“‡× †MÖdZvwi c‡ivqvbv Rvwi K‡ib| AvBwmwm wePviKMY K‡qK w`‡bi g‡a¨ Zvi G Awf‡hvM MÖnY Kiv n‡e wKbv †m wel‡q wm×vš— Rvbv‡eb| evmm

06-06-2011

†hŠb nqivwbi `v‡q Rvcv‡b evsjv‡`‡ki ivóª`~Z cÖZ¨vnvi


Kv‡eix ˆg‡Îq  : Rvcv‡b wbhy³ evsjv‡`‡ki ivóª`~Z G †K Gg gywReyi ingvb f‚uBqv‡K cÖZ¨vnvi K‡i †`‡k Avbv n‡”Q| Rvcv‡bi †UvwKI‡Z `~Zvev‡m PvKwi Kiv GKRb ¯’vbxq bvix‡K †hŠb nqivwbi `v‡q Zv‡K †`‡k wdwi‡q †bIqv ev Ab¨ †Kv_vI e`jxi mycvwik K‡i Z`š— KwgwU| ciivó« gš¿Yvjq  †_‡K G Z_¨ Rvbv hvq | †UvwKI `~Zvev‡mi mv‡eK †mvm¨vj †m‡µUvwi wK‡qv‡Kv ZvKvnvwmi Awf‡hv‡Mi cwi‡cÖw¶‡Z ciiv÷ª gš¿Yvj‡qi MwVZ Z`š— KwgwU ivóª`~Z gywRey‡ii wei“‡× Awf‡hv‡Mi cÖv_wgK mZ¨Zv cvq | Z`š— KwgwUi cÖavb wQ‡jb `w¶Y †Kvwiqvi wmD‡j wbhy³ evsjv‡`‡ki ivóª`~Z knx`yj Bmjvg| wZwb ivóª`~Z gywReyi ingv‡bi wei“‡× AvbxZ Awf‡hvM Z`š— K‡ib|  8 †g †_‡K cieZ©x K‡qKw`b knx`yj Bmjvg †UvwKI wM‡q Awf‡hv‡Mi Z`š— K‡ib| Z`š— cÖwZ‡e`b wZwb XvKvq ciivóª gš¿Yvj‡q ‡cÖiY K‡ib| Rvcv‡b wbhy³ ivóª`~Z gywReyi ingvb MZKvj e‡jb, Avgvi wei“‡× lohš¿ Kiv n‡”Q| Rvcvwb Zi“Yx ZvKvnvwm ciivóª gš¿Yvj‡q cvVv‡bv K‡qK c„ôvi Awf‡hvMc‡Î ivóª`~Z gywReyi ingv‡bi wei“‡× K‡qK`dv wewfbœfv‡e †hŠb nqivwbi Awf‡hvM †Zv‡jb| wZwb GB Awf‡hvMcÎ Rvcv‡b Kg©iZ Ab¨ †`‡ki ivó«`~Z‡`i Kv‡QI cvwV‡q‡Qb| ZvKvnvwm Awf‡hvMc‡Î AviI e‡jb, evsjv‡`k miKvi hw` Avgvi Awf‡hv‡Mi myivnv bv K‡i, Z‡e Rvcv‡bi Av`vj‡Z gvgjv Ki‡ev| evsjvwbDR   

Surprise News

cÖZvwiZ †cÖwgKvi RyZv‡cUvi wkKvi ivwe wk¶K!



Avi †K iwb : †cÖg K‡i we‡q bv Kivi Kvi‡Y cÖZvwiZ †cÖwgKvi nv‡Z RyZv‡cUvi wkKvi n‡q‡Qb ivRkvnx wek¦we`¨vj‡qi (ivwe) GK wk¶K| kwbevi wek¦we`¨vj‡qi cÖavb dU‡Ki mvg‡b †ejv 12Uvi w`‡K G NUbv N‡U| jvwÃZ wk¶K kvgxg †nv‡mb wek¦we`¨vj‡qi imvqb wefv‡Mi cÖfvlK| Zvi evwo cvebv †Rjvi PvU‡gvni _vbvq| Avi †cÖwgKvi evwo GKB †Rjvi Ck¦i`x Dc‡Rjvq| wZwb cvebv A¨vWIqvW© wek¦we`¨vjq K‡j‡Ri e¨e¯’vcbv wefv‡Mi †kl e‡l©i QvÎx| cÖZ¨¶`k©x I cywjk m~‡Î Rvbv †M‡Q, cÖvq Qq eQi Av‡M ivwei mœvZ‡Ki (imvqb) QvÎ _vKvi mgq kvgxg †g‡qwUi m‡½ †cÖ‡g Rovb| †cÖ‡gi ïi“ †_‡KB kvgxg we‡qi cÖwZkÖ“wZ w`‡q AvmwQ‡jb e‡j Rvbvb †g‡qwU| †cÖwgKvi Awf‡hvM, 2010 mv‡ji †k‡li w`‡K ivwei imvqb wefv‡M cÖfvlK wn‡m‡e †hvM`v‡bi mgqI kvgxg †nv‡mb Zv‡K we‡qi Avk¦vm w`‡qwQ‡jb| wKš‘ MZ 13 †g nVvr K‡i IB †g‡q‡K bv Rvwb‡q BmjvwgK ÷vwWR wefv‡Mi GK wk¶‡Ki †g‡q‡K we‡q K‡ib wZwb| NUbv Rvbvi ci wZwb kvgxg †nv‡m‡bi m‡½ evievi †hvMv‡hv‡Mi †Póv K‡iI e¨_© nb| †kl ch©š— eva¨ n‡q wZwb kwbevi mKvj †_‡K wek¦we`¨vj‡qi cÖavb dU‡K Ae¯’vb †bb| Gici `ycyi 12Uvi w`‡K kvgxg K¨v¤úvm †_‡K †ei nIqvi mgq wZwb Zv‡K Rvc‡U a‡ib Ges Zv‡K we‡q Ki‡Z e‡jb| kvgxg Zv‡Z Am¤§wZ Rvbvb| G ch©vq †g‡qwU Zv‡K wb‡Ri RyZv Ly‡j Zv w`‡q †cUv‡Z ïi“ K‡ib| G mgq †mLv‡b `vwqZ¡iZ cywjk I wek¦we`¨vj‡qi MvW©iv `yÕ`Rb‡KB D×vi K‡i cÖ±‡ii `߇i wb‡q hvb| Awfhy³ wk¶K kvgxg †nv‡m‡bi m‡½ †gvevBj †dv‡b †hvMv‡hvM Kiv n‡j wZwb Awf‡hvM A¯^xKvi K‡i e‡jb, ÔGK eÜzi gva¨‡g Zvi m‡½ Avgvi cwiPq nq| gv‡S-g‡a¨ †gvevBj †dv‡b K_v n‡Zv| GQvov Zvi m‡½ †Kv‡bv m¤úK© Avgvi †bB|Õ cÖ±i †PŠayix †gvnv¤§` RvKvwiqv e‡jb, Ô†g‡qwUi Awf‡hvM †kvbvi ci cÖ‡qvRbxq Z`š— K‡i mwVK e¨e¯’v †bIqv n‡e|Õ evsjvwbDR

June Date (01-10)

ঝালকাঠিতে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে অন্ত:সত্বা করে সিঙ্গাপুর প্রবাসী উধাও, গুরুত্বর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি
Posted: 01 Jun 2011 05:30 AM PDT

ধর্ষণ

ঝালকাঠি, ১ জুন (জিয়াউল হাসান পলাশ/আমাদের বরিশাল ডটকম): ঝালকাঠিতে দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণীর এক শিশুছাত্রীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করে তাকে ৫ মাসের অন্ত:সত্বা করেছে মিজান নামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী। তারা দু’জনেই সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নস্থ মুরাসাতা গ্রামের বাসিন্দা। আজ বুধবার গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি এখন হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মিজানের বাড়িতে কাজ করার সুবাদে সাহায্যের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে ভোগ করা হত বলে শিশুটির পরিবার অভিযোগ করেছে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হবার পর থেকেই প্রবাসী মিজান পলাতক রয়েছেন।
শিশুটির পিতা কালাম হাওলাদার জানান, মিজান ও তাদের বাড়ি পাশাপাশি। দারিদ্রতার কারনে তার মেয়ে মিজানদের বাড়িতে কাজ করত। বেশ কিছুদিন আগে মিজান সিঙ্গাপুর থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে। শিশুটিকে আর্থিক সাহায্য এবং পড়াশুনার খরচ দেয়ার কথা বলে প্রায়ই জোড়পূর্বক তার সাথে গোপনে মেলামেশা করত মিজান। এতে সে ৫ মাসের অন্ত:সত্বা হয়ে পরে। অন্ত:সত্বা হয়ে পড়ায় মিজান শিশুটিকে নিয়ে গত ২৬ মে বরিশাল একটি ডায়গনেষ্টিক সেন্টারে এসে গোপনে এমআর করিয়ে আনে।
শিশুটির মা জানান, এমআর করানোর পর থেকে ওর প্রচন্ড পেট ব্যাথা এবং রক্তক্ষরন হয়। এ নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় শিশুটি পরিবারকে এ ঘটনা জানায়।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হবার পর থেকেই লম্পট মিজান ঢাকার গাজীপুরে নিকট আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে পালিয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বুধবার শিশুটিকে গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার সময়ও মিজানের পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয়। বরিশালে না নেয়ার জন্য টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয় তারা। অসহায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করে এর বিচার চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা-মা।
শেবাচিম হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটির এমআর সম্পূর্ন না হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে।
এব্যাপারে মিজান এর নাম্বারে ফোন করা হলে এক ব্যাক্তি ধরে ফয়সাল বলে নিজেকে পরিচয় দেন। এ নাম্বার কার, কোথা থেকে বলছেন জানতে চাইলে তিনি গাজীপুর থেকে বলছেন এবং কার নাম্বার জানেননা বলে লাইন কেটে দেন।


পটুয়াখালীর দুমকিতে অপহৃতা দুই স্কুল ছাত্রী অপহরণের ২১ দিন পর উদ্ধার
Posted: 02 Jun 2011 06:18 AM PDT
ধর্ষণ
পটুয়াখালী, ২ জুন (সঞ্জয় কুমার দাস/আমাদের বরিশাল ডটকম): পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অপহৃতা দুই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ২১দিন পর উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে পৃথক পৃথক ভাবে এদেরকে উদ্ধার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ উদ্ধারকৃত দুই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ জানায়, দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী স্কুলের ক্লাশ শেষে বাড়ি যাবার পথে গত ১১ মে দুপুরে অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনার ৭ দিন পর একই গ্রামের একই স্কুলের ৯ম শ্রেণীর আপর ছাত্রী অপহরণ হয়। উভয় ঘটনায়ই দুমকি থানায় পৃথক দু’টি অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আসামিদের অভিভাবক ও আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে ঘটনা মিমাংসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে অপহৃতা দুই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তবে অপহরণকারীরা এখনও পলাতক রয়েছে।

 

দশমিনায় সাবেক ইউপি মেম্বরের পুত্র কর্তৃক এক মাদ্রাসা ছাত্রী তিন মাসের অন্ত:সত্তা
Posted: 04 Jun 2011 08:23 AM PDT
 ধর্ষণ
পটুয়াখালী, ৪ জুন (সঞ্জয় কুমার দাস/আমাদের বরিশাল ডটকম): পটুয়াখালীর দশমিনায় সাবেক ইউপি মেম্বর’র পুত্র কর্তৃক প্রেম সম্পর্কে আলিম পড়ুয়া ছাত্রী তিন মাসের অন্ত:সত্তা হয়ে পড়েছে। আজ শনিবার অনৈতিক কাজে লিপ্তথাকা অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ জানায়, আজ শনিবার উপজেলার বগুড়া গ্রামের প্রাক্তন মেম্বর মোহসিন খলিফার বখাটে পুত্র শাহীনকে (২৪) আদমপুর সিনিয়র ফাযিল মাদরাসা’র আলিম পড়ুয়া ছাত্রী পার্শবর্তী গ্রামের নবী আলী মুন্সির মেয়ের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্তাবস্থায় হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় জনতা দুজনকে ধরে পুলিশকে খবর দিলে দশমিনা থানা পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে।
ঐ ছাত্রী জানায়, দু বছর ধরে তার সাথে শাহীন প্রেম করে আসছে। বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে শাহীনের অবৈধ মেলামেশায় তিনি ইতিমধ্যে ৩ মাসের অন্ত:সত্তা হয়ে পরেছেন।
ঘটনার সময় তার বাবা ও মা বাড়িতে ছিল না। তবে অভিযুক্ত শাহিন ঐ মেয়ের সাথে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন।




সামাজিক অবক্ষয়ঃ বাকেরগঞ্জে একদিনেই মোবাইল পরকীয়ায় ৪ গৃহবধূ প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে
Posted: 05 Jun 2011 08:52 AM PDT

সামাজিক অবক্ষয়
বাকেরগঞ্জ, ৫ জুন (দানিসুর রহমান লিমন/আমাদের বরিশাল ডটকম): বাকেরগঞ্জে আজ একদিনেই মোবাইল পরকীয়ায় চার গৃহবধূ ঘর ছেড়ে পালিয়েছে অন্যের হাত ধরে।
থানা সুত্রে জানা গেছে, কবাই ইউনিয়নের ঢোলা গ্রামের জালাল সিকদারের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী লাকি বেগম (২৫) তার সন্তানদের ফেলে রেখে স্বর্নালংকার ও ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আজ বাড়ী থেকে চলে যায় একটি ছেলের হাত ধরে। লাকি বেগমের স্বামী জালাল জানান, লাকি মোবাইল ফোনে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল।
গারুড়িয়া ইউনিয়নের বটবালি গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম শামীমের স্ত্রী এক সন্তানের জননী তানিয়া আক্তার (২২) তার শিশু সন্তানকে ফেলে মোবাইল ফোনে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে আকবর রিয়াজ নামের একটি ছেলের সাথে আজ কুয়াকাটা পালিয়ে গেছে।
অপরদিকে খুলনা থেকে যমুনা অয়েলে কর্মরত জেএম সালাউদ্দিনের কন্যা ফারজানা আফরিন দোলা (২১) মোবাইল ফোনে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে বাকেরগঞ্জের কলসকাঠীর খন্দকার ইমাম হোসেন মিন্টু নামের একটি ছেলের কাছে ১৩ দিন পূর্বে চলে এসে আজ থানা পুলিশের হাতে ধরা পরেছে। ফারজানা আফরিন দোলা জানান, সে মিন্টুকে বিয়ে করেছে। তার পূর্বের স্বামী নাছিম নেশাগ্রস্থ, মাতাল। সে প্রতিদিনই তাকে (দোলা) শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল। এদিকে তার পূর্বের স্বামী নাছিম উর্ব্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে দোলাকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে দোলা নাছিমের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের নিকট প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে কেঁদে দেয়।
অপরদিকে, স্থানীয় লেখক মোকছেদের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রুবি বেগম (৩৫) কাউকে কিছু না বলে আজ নিরুদ্দেশ হয়েছেন। এ ঘটনায় তার স্বামী মোকছেদ থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছেন।
এসব ঘটনাগুলো নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেক গৃহবধূর স্বামী আজ রবিবার লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শহিদুলের শরনাপন্ন হয়েছেন।
এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে সমাজের কিছু মানুয়ের নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয়টি নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে। বর্তমানকালের সামাজিক বন্ধনের নাজুক অবস্থাই কি এজন্য দায়ী?
-


আগৈলঝাড়ায় এক বিধবাকে ধর্ষণের পরে গলায় কলসী বেঁধে হত্যার অভিযোগ
Posted: 07 Jun 2011 06:06 AM PDT
ধর্ষণ
আগৈলঝাড়া, ৭ জুন (সাইদুর রহমান স্বপন/আমাদের বরিশাল ডটকম): বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক বিধবাকে ধর্ষণের পরে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার ৩দিন পরে আজ মঙ্গলবার সকালে পার্শ্ববর্তী বাড়ির পুকুর থেকে হতভাগা বিধবার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি পোস্টমর্টেমের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের রবীন্দ্রনাথ বাড়ৈ ২ বছর পূর্বে স্ত্রী ঝর্ণা বাড়ৈ ও ২ ছেলে, ১ মেয়ে রেখে মারা যান। ছেলেরা ঢাকায় ও মেয়ে শশুরবাড়ী থাকার কারণে বিধবা ঝর্ণা বাড়ৈ বাড়িতে একা বসবাস করতেন। গত ৪ জুন শনিবার রাতে কোন এক সময় ঝর্ণা বাড়ৈকে দূর্বৃত্তরা ধর্ষণ করে বাড়ির পাশে একটি ছোট পুকুরে গলায় কলসী বেঁধে ফেলে রাখে বলে স্থানীয়দের ধারণা। অনেকস্থানে খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে সেদিন পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার সকালে ঝর্ণার দেবর অধীর বাড়ৈ পার্শ্ববর্তী বাড়ির কুশাই সরকারের পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশের এসআই আবুল খায়ের ও এএসআই আকতার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট করেছেন। পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত ঝর্ণা বাড়ৈ’র ছেলে রিপন বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। যার নং- ১০ (০৭-০৬-২০১১ ইং)।
-


বাউফলে যৌতুক লোভী এক পাষন্ড স্বামীর মধ্যযুগীয় বর্বরতা!
Posted: 09 Jun 2011 08:39 AM PDT
মধ্যযুগীয় বর্বরতা
বাউফলে যৌতুক লোভী স্বামীর মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার বিউটি বেগম (ছবিঃ আমাদের বরিশাল ডটকম)

বাউফল, ৯ জুন (কৃষ্ণ কর্মকার/আমাদের বরিশাল ডটকম): পটুয়াখালীর বাউফলে যৌতুকের দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে জখম করার পর গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে এবং স্তন কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছে জাহাঙ্গির মোল্লা নামে এক পাষন্ড স্বামী। আজ অবৃহস্পতিবার বিকালে কনকদিয়া গ্রামে এ বর্বর ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে কনকদিয়া ইউপির কনকদিয়া গ্রামের জাহাঙ্গির মোল্লার সাথে একই ইউনিয়নের নারায়ন পাশা গ্রামের রশিদ দেওয়ানের মেয়ে বিউটির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই জাহাঙ্গির বিউটির উপর যৌতুকের জন্য নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে একাধিকবার শাররীক নির্যাতনও করা হয় বিউটিকে। নিরুপায় হয়ে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিউটির গরীব বাবা  বিভিন্ন সময় জামাতাকে টাকা প্রদান করেন। গত ৪/৫ দিন আগে স্বামী জাহাঙ্গীর বিউটির কাছে ব্যবসার নামে আবারও ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে এবং টাকা আনার জন্য বাবার বাড়ি যেতে বলে। বিউটি এতে রাজি না হওয়ায় আজ বিকাল ৫ টার দিকে পাষন্ড স্বামী জাহাঙ্গীর ২ সন্তানের সামনে প্রথমে বিউটিকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এরপর ওই লাঠি বিউটির গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে এবং স্তন্য কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে।
এ বর্বর ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় মহিলা মেম্বর মুজিরুন্নাহার কনকদিয়া গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে বিউটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
-

স্কুলছাত্রীর গর্ভপাত ঘটানোয় ঝালকাঠিতে দুবাই প্রবাসী ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
Posted: 09 Jun 2011 05:24 AM PDT

ঝালকাঠি, ৯ জুন (জিয়াউল হাসান পলাশ/আমাদের বরিশাল ডটকম): ঝালকাঠির মুরাসাতা গ্রামে দুবাই প্রবাসী মিজানুর রহমান মিজান কর্তৃক এক স্কুলছাত্রীকে ৫ মাসের অন্ত:সত্তা করে গর্ভপাত ঘটিয়ে পালিয়ে যাবার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রী জান্নাতুল নিজেই বাদী হয়ে লম্পট মিজান ও বরিশাল গ্রীন ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের ডাক্তার আরজুমান আক্তার এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
বাদি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট হারুর অর রশিদ জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ও দঃ বিঃ ১১৪/৩১৩/৫০৬/ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত এ ব্যাপারে ঝালকাঠি ডিবি পরিদর্শককে বাদীর চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এবং কাগজপত্র সংগ্রহ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় যে, আসামী মিজানের বাড়িতে কাজ করার সুবাদে সে প্রায়ই বাদিকে উত্যাক্ত করত এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করত। এ ঘটনায় বাদী ৫ মাসের অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ে। বিষয়টি আসামী মিজানের বাবা-মা জানতে পেরে তাকে তাদের পুত্রবধূ করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে গত ২৬ মে বাড়ি হতে বরিশাল গ্রীন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে আসে। সেখানে আসামী ডাক্তার আরজুমানের সাথে মিজান পরামর্শ করে বাদিকে জোর পূর্বক ইনজেকশন দিয়ে ৫ মাস অবস্থায় গর্ভপাত ঘটায়। এরপর মিজান বাদিকে বাড়ি পৌছে দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু ঐ সময় গর্ভপাত সম্পূর্নভাবে না হওয়ায় বাদীর থেমে থেমে রক্তক্ষরন হতে থাকে। তাই তাকে তার বাবা-মা গত ৩১ মে বরিশাল শেবাচিমে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বাদির বাবা আবুল কালাম জানান, মিজান দীর্ঘদিন দুবাই থেকে বাড়িতে এসে এ ঘটনা ঘটিয়ে এখন আবার সিঙ্গাপুর যাবার জোড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি তাদের উকিলকে মামলা না চালানোর জন্য মোটা অংকের টাকার প্রস্তাব দিচ্ছে।

 

Sunday, May 29, 2011

May Date (21-31)

বরগুনায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত নায়েকের বিরুদ্ধে ৩য় শ্রেনীর শিশুছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ
Posted: 21 May 2011 01:18 AM PDT
বরগুনা, ২১ মে (মনির হোসেন কামাল/আমাদের বরিশাল ডটকম): বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর এক ছাত্রীকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত নায়েক জহিরুল ইসলাম ফিরোজ সিকদার ধর্ষনের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেশীরা জানান, নির্যাতিত শিশুসহ বেশ কয়েকজন শিশু ফিরোজ সিকদারের কাছে প্রাইভেট পড়তো। গত মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকেলে প্রাইভেট পরে অন্যান্য শিশুরা চলে গেলেও ঐ শিশুটিকে খালি ঘরে জোড় পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায় ফিরোজ সিকদার। শিশুটির আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ধর্ষনের হাত থেকে রক্ষা করেন। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ফিরোজ সিকদার অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনী রেশারেশির কারনে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুল হক জানান, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
-

গৌরনদীতে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের
Posted: 22 May 2011 07:32 AM PDT

গৌরনদী, ২২ মে (বিএম রিপন/আমাদের বরিশাল ডটকম): বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার বড় কসবা আবাসন প্রকল্পের (গুচ্ছ গ্রামের) ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় আজ রোববার দুপুরে গৌরনদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিতার মা রোকেয়া বেগম বাদি হয়ে ধর্ষক জালিল হাওলাদার (৩২)কে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও ধর্ষিতা জানায়, উপজেলার বড় কসবা আবাসন প্রকল্পের ৩/৯ নং কক্ষে  রোকেয়া বেগম ও তার ১৪ বছরের কিশোরী কন্যা কয়েক বছর ধরে বসবাস করে আসছে।  ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার রমজানপুর গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে  বাবুর্চির সহকারী হিসেবে তার মা কাজ করতে যায়। বৃহস্পতিবার  গভীর রাতে নির্জন ঘরে একাকি ঘুমিয়ে ছিল সে। এসময় প্রতিবেশী ৩ সন্তানের জনক নসিমন চালক জলিল হাওলাদার (৩২) কক্ষের জানালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে মুখে কাপড় দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার (কিশোরীর) ডাকচিৎকারে আবাসনের লোকজন এগিয়ে এসে ধর্ষককে আটক করে গনধোলাই দেয়। বিচারের আশ্বাস দিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল ধর্ষককে ছাড়িয়ে নেয়।
গৌরনদী থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, ধর্ষককে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতাকে আগামীকাল সোমবার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হবে।
-

পটুয়াখালীর দশমিনায় দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে মামলা
Posted: 23 May 2011 04:23 AM PDT

ধর্ষণ
পটুয়াখালী, ২৩ মে (সঞ্জয় কুমার দাস/আমাদের বরিশাল ডটকম): পটুয়াখালীর দশমিনায় দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষন চেষ্টা ও নির্যাতন এবং তার বৃদ্ধা মাকে মারধর করার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুরুত্বর আহত শাহানাজ বেগম বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামি করে আজ সোমবার সকালে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার উল্লেখিত আসামিরা হলো- কামাল মৃধা, হাবিব মৃধা, বশির মৃধা, আবু মৃধা, নজরুল ওরফে নজু মৃধা ও নূরজাহান বেগম। জেলার দশমিনা উপজেলার দক্ষিণ রনগোপালদি গ্রামের বাসিন্দা সকলেই।
মামলায় আর্জিতে বলা হয়েছে, বাদিনী শাহানাজ বেগমের স্বামী বিদেশে (বাহরাইন) চাকরি করছেন। দুই সন্তান নিয়ে সে তার বাবার বাড়ি মায়ের কাছে থাকে। এ সুযোগে আসামিরা তাকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামিরা শাহানাজকে প্রায়ই বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি দিতে থাকে। এতে করে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছিল না দুই সন্তানের জননী শাহানাজ বেগম। ঘটনার দিন ১৮ মে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে তার বৃদ্ধা মা সুফিয়া বেগমকে বেঁধে রেখে শাহনাজকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে জঙ্গলে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং পড়নের কাপড়-চোপড় খুলে ফেলে।
এ সময় শাহানাজ ডাক-চিৎকার করলে আসামিরা তার গোপনাঙ্গে লাথি মারে এবং শারিরীক নির্যাতন করে। এতে তার গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। তার ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায় এবং যাবার সময় তার দেড় বছরের শিশু সন্তান বনি আমিনকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার ৩ দিন পর শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে তার কাছে পৌঁছে দেয়।
এ ঘটনার খবরে শাহানাজের ভাই আবুল কালাম ঢাকা থেকে এসে ২১ মে দশমিনা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আসামিদের প্রভাবে মামলা গ্রহণ করেনি। তাই আদালতে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয় তারা।
-


অপহরনের ১৯ দিন পর হবিগঞ্জের স্কুলছাত্রীকে পটুয়াখালী পতিতালয় থেকে উদ্ধার
Posted: 27 May 2011 05:44 AM PDT

পটুয়াখালী, ২৭ মে (সঞ্জয় কুমার দাস/আমাদের বরিশাল ডটকম): অপহরন হওয়ার দীর্ঘ ১৯ দিন পর হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার রমজানপুর গ্রামের নবম শ্রেনীর ছাত্রী রাহিমা বেগম রাইমাকে উদ্ধার করেছে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ। শহরের পতিতা পল্লীর সর্দারনী ফাতেমা বেগমের ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার রাইমাকে তার অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করে সর্দারনি ফাতেমাকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
রাহিমার বড় ভাই মোঃ আবুল কালাম জানান, গত ৭মে শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে স্কুলে যাবার পথে একটি পাচারকারী চক্র তাকে অপহরণ করে এবং পরবর্তীতে পটুয়াখালী পতিতালয়ে সর্দারনী ফাতিমার কাছে বিক্রি করে দিয়ে যায়। সম্ভাব্য সকল আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে ওই দিনই নবীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডি নং-২৮৪/১১। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পরিবারের সবাই রাইমাকে খোঁজ করতে থাকে।
এ অবস্থায় গত ২৫মে রাইমা কৌশলে মোবাইল ফোনে তার ভাই আবুল কালামকে পরিনতির কথা জানিয়ে বলে “আমি পরিস্থিতির শিকার। আমি পটুয়াখালী পতিতালয়ে আছি।” এ খবর পেয়ে আবুল কালাম ও তার চাচা আঃ রকমান তালুকদারকে নিয়ে গত ২৬মে সকালে পটুয়াখালীতে এসে গোপনে পতিতালয়ে গিয়ে দূর থেকে বোন রাইমাকে দেখতে পায়।
বোনকে উদ্ধারের জন্য পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এড. আফজাল হোসেন স্বপন তালুকদারের শরনাপন্ন হন ভাই আবুল কালাম। আইনজীবি স্বপন তালুকদারের মাধ্যমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু বকর সিদ্দিকীর সহায়তায় বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় সর্দারনি ফাতিমার ঘর থেকে রাইমাকে উদ্ধার করে এবং সর্দারনি ফাতেমাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ সর্দারনি ফাতেমাকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।





অপহরনের ৬ দিন পর দশমিনার স্কুল ছাত্রী গলাচিপায় উদ্ধার, আটক ২
Posted: 29 May 2011 10:43 AM PDT

বাউফল, ২৯ মে (কৃষ্ণ কর্মকার/আমাদের বরিশাল ডটকম): অপহরনের ৬ দিন পর পটুয়াখালীর দশমিনা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর ৩ টার দিকে গলাচিপা থানা পুলিশের সহায়তায় অপহরনকারীকে গ্রেফতারসহ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে দশমিনা থানা পুলিশ।
গত ২৩ মে স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে উপজেলার চরহোসনাবাদ গ্রামের ফুলু খানের বখাটে পুত্র সুজনের(২০) নেতৃত্বে ৬/৭ জনের একটি সন্ত্রাসী দল মটরসাইকেল যোগে ওই ছাত্রীকে অপহরন করে নিয়ে যায়। পরে ২৭ মে সুজনের সহযোগী একই উপজেলার সৈয়দ জাফর এলাকার আসমান আলী মাতবরের বখাটে পুত্র মাহবুব মোবাইল ফোনে মেয়ের বাবার কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে। এ ঘটনায় অপহৃতার বাবা(হানিফ গাজি) সুজনকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে দশমিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মাহবুবের কথা অনুযায়ী মেয়ের বাবা হানিফ গাজি ২৮ মে পুলিশ (সিভিল) সাথে নিয়ে দাবিকৃত টাকা দিতে যায় এবং টাকা নেওয়ার সময় তাকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মাহবুবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার দুপুর ৩ টার দিকে গলাচিপা থানা পুলিশের সহায়তায় দশমিনা থানা পুলিশ উলানিয়া বাজার এলাকা থেকে অপহরনকারীর মূল হোতা সুজনকে গ্রেফতারসহ অপহৃতাকে উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দশমিনা থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন,বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
-



কলাপাড়ায় বখাটেদের কবল থেকে এক কিশোরী উদ্ধার
Posted: 29 May 2011 09:06 AM PDT

উদ্ধারকৃত কিশোরী
কলাপাড়ায় বখাটেদের কবল থেকে উদ্ধারকৃত কিশোরী

কলাপাড়া, ২৯ মে (উত্তম কুমার হাওলাদার/আমাদের বরিশাল ডটকম): কলাপাড়ায় বখাটেদের কবল থেকে প্রিয়া (১৫) নামের এক কিশোরীকে উদ্ধারের পর স্থানীয়রা তাকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। শনিবার রাতে পৌরশহরের বাসষ্ট্যান্ড সড়ক থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বখাটেদের কবল থেকে উদ্ধারের পর কিশোরীকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে কিনা তা প্রমানের জন্য অদ্যবধি রহস্যজনক কারনে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়নি।
পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত প্রিয়ার স্বীকারোক্তি মতে তার বাবার নাম ইদ্রিস বেপারী। কুমিল্লার সখিপুর থানার তারামুনিয়া গ্রামে তার স্থায়ী বাড়ি। বর্তমানে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় তার সৎ মা তামান্নার সাথে একত্রে অবস্থান করে সে একটি গার্মেন্টসে কাজ করে। শুক্রবার ঢাকা থেকে সৎমায়ের সাথে অভিমান করে কুয়াকাটা আসার পর শনিবার রাত আনুমানিক দশটার দিকে কলাপাড়া থেকে ঢাকার কোন বাস না পেয়ে বাসস্ট্যান্ডের একটি বখাটে চক্রের খপ্পরে পড়ে। এসময় একদল বখাটে তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। কিশোরীকে উদ্ধারের সময় তার সঙ্গে একটি পার্টস এবং কিছু কসমেটিক্স ছাড়া পরিধেয় কোন কাপড় চোপড় পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে কলাপাড়া হাসপাতালের রেজিষ্ট্রারে তার বাড়ি চাঁদপুরের মতলব থানার তারামুনিয়া ষ্টেশন লেখায় সুশ্রী ওই কিশোরীকে নিয়ে এখন পুলিশসহ স্বাস্থ্য বিভাগ বিপাকে পড়েছে।
কলাপাড়া থানার এ.এস.আই বেলাল হোসেন জানান, আমরা প্রিয়ার দেয়া ঠিকানা মতো খোঁজ খবর করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় তথ্য সরবরাহ করেছি। কিশোরী রক্তস্রাবের অসুস্থ্যতা কাটিয়ে ওঠার পর তার প্রকৃত অভিভাবক না পেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।


আগৈলঝাড়ায় স্কুল ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
Posted: 29 May 2011 09:12 AM PDT

আগৈলঝাড়া, ২৯ মে (সাইদুর রহমান স্বপন/আমাদের বরিশাল ডটকম): বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক স্কুল ছাত্রীর গলায় ওড়ানা পেচানো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
থানাসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চেংগুটিয়া গ্রামের দিনমজুর নজরুল সরদারের মেয়ে চেংগুটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শিউলী আক্তার (১০) আজ রোববার দুপুরে নিজ ঘরের ভিতরে আড়ার সাথে অজ্ঞাতকারণে গলায় ওড়ানা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে যার নং- ০৯ (২৯/০৫/২০১১)। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
-



গৌরনদীতে এক কলেজ ছাত্রী ও গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
Posted: 30 May 2011 06:43 AM PDT

গৌরনদী, ৩০ মে (বিএম রিপন/আমাদের বরিশাল ডটকম): বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাকাই গ্রামে আজ সোমবার এক কলেজ ছাত্রী ও রবিবার রাতে নন্দনপট্টি গ্রামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। উভয় মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
গৌরনদী থানার এস.আই আবুল হোসেন জানান, কালকিনি উপজেলার ডাসার কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ও বাকাই গ্রামের বিজয় দাসের কন্যা সাথী দাসের (১৭) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রহস্য উদঘাটনের জন্য এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
নিহত কলেজ ছাত্রীর বাবা বিজয় দাস জানান, সোমবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাথী মারা যায়।
নিহত সাথীর কাকা গৌরাঙ্গ দাস জানান, সাথী তাদের বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে সাথী ধর্ষণের স্বীকার হয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। ধর্ষকের সাথে বিজয় দাসের সমঝোতা হওয়ায় বিষয়টি অভিভাবকরা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা করছে।
এ ব্যাপারে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকন ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিহত কলেজ ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ভিন্নতর বক্তব্য পাওয়ায় বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।
অপরদিকে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য কাজী সলেমান হোসেনের স্ত্রী শিরিন বেগমের (৪০) রবিবার সন্ধ্যায় রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিরিনের ভাই আলকাচ হাওলাদার অভিযোগ করেন, তার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে।
নিহতের স্বামী কাজী সলেমান জানান, বাত জ্বরের ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে তার স্ত্রী শিরিন বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।
এস.আই আসাদুল হক জানান, শিরিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ সোমবার বরিশাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইতিপূর্বে কাজী সলেমানের বিরুদ্ধে একই ভাবে গৃহকত্রীকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে সে (সলেমান) মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।

Saturday, May 28, 2011

May Date (11-20)


আগৈলঝাড়া হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে এসে ঢাকা কলেজের ছাত্রী অপহৃত
Posted: 11 May 2011 11:27 AM PDT

গৌরনদী, ১১ মে (নিজস্ব প্রতিবেদক/আমাদের বরিশাল ডটকম): বরিশালের আগৈলঝাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে আজ বুধবার বিকেলে কনক মিস্ত্রি নামের এক কলেজ ছাত্রী অপহৃত হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর ভাই স্কুল শিক্ষক শংকর মিস্ত্রি বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আজ সন্ধ্যায় অপহরনের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, আগৈলঝাড়ার রামানন্দেরআঁক গ্রামের কুমুদ মিস্ত্রির কন্যা ও ঢাকা কলেজের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কনক মিস্ত্রি (২১)। আজ বুধবার গ্রামের বাড়িতে আসার জন্য কনক ঢাকার গাবতলী থেকে হানিফ পরিবহনযোগে রওয়ানা হয়ে বিকেলে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে নামেন। কনককে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য গৌরনদীতে অপেক্ষায় ছিলো একই বাড়ির সুনিল বিশ্বাসের পুত্র সবুজ বিশ্বাস (১৮)। গৌরনদী থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পথিমধ্যে কনক অসুস্থ্য হয়ে পরে। এসময় তাকে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল কমাউন্ড এলাকা অতিক্রমকালে মধ্যশিহিপাশা গ্রামের অজেদ সরদারের পুত্র আরিফ সরদার, হাকিম সরদারের পুত্র রনি সরদার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী কায়েস হোসেন পথিমধ্যে কলেজ ছাত্রী কনক মিস্ত্রি ও সবুজ বিশ্বাসকে পথরোধ করে। এসময় উল্লেখিত যুবকেরা কনক ও সবুজের সাথে থাকা ২ টি মোবাইল সেট ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে সবুজকে মারধর করে মটরসাইকেলযোগে কনককে জোড়পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় কনকের ভাই স্কুল শিক্ষক শংকর মিস্ত্রি আজ সন্ধ্যায়ই থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রনি ও আরিফ সরদারকে গ্রেফতার করেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টা) পুলিশ অপহৃতা কলেজ ছাত্রী কনককে উদ্ধার করতে পারেননি। আগৈলঝাড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এস.আই মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপহৃতাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের জোড়প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।



আগৈলঝাড়ায় পাঁচ ঘন্টা পর অপহৃতা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার, গ্রেফতার ২
Posted: 12 May 2011 11:21 AM PDT

আগৈলঝাড়া, ১২ মে (সাইদুর রহমান স্বপন/আমাদের বরিশাল ডটকম): ঢাকা থেকে বাড়ী ফেরার পথে আগৈলঝাড়ায় কলেজ ছাত্রী অপহরনের ঘটনার ৫ ঘন্টা পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে। অপহরনের সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উপজেলার রামানন্দেরআঁক গ্রামের কুমুদ মিস্ত্রির মেয়ে ঢাকা টিচার্স ট্রের্নিং কলেজে বিএড অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী কনক মিস্ত্রি(১৯) গতকাল বুধবার বাড়ি আসার জন্য হানিফ পরিবহনে বিকেলে গৌরনদী নামে। তাকে আনার জন্য অপেক্ষা করছিল একই বাড়ির তার ভাই সুনিল বিশ্বাসের ছেলে সবুজ বিশ্বাস (১৮) । পথে কনক মিস্ত্রি তাকে গৈলা হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যায় সুনিল বিশ্বাস। এসময় বরিশালের আদম আলীর ছেলে কায়েস (২২) এর নেতৃত্বে মধ্য শিহিপাশা গ্রামের অজেদ সরদারের ছেলে আরিফ সরদার (২২), হাকিম সরদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম রনি (২১), কালু পাইকের ছেলে কাওসার (২২) ও একই গ্রামের কাঞ্চন (২২) তাদের ধরে ১ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এসময় তারা কনককে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে এবং সবুজকে মারধর করে সরিয়ে দিয়ে কনককে অপহরণ করে পালিয়ে যায়।
সবুজ এঘটনা কনকের ভাই স্কুল শিক্ষক শংকর মিস্ত্রিকে ফোনে জানালে পুলিশের এসআই মনির তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে রনি ও আরিফকে গ্রেফতার করে। ওই রাতেই ৫ ঘন্টা পর পুলিশের ঝটিকা অভিযানে রাংতা বাজারের উত্তর পাশ থেকে রাত সাড়ে ১০ টায় অপহৃতা কনককে পুলিশ উদ্ধার করে। এঘটনায় কনকের ভাই শংকর বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় ৫ জনকে আসামী করে অপহরন মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- ১০(১১/৫/১১)।
পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে ও অপহৃতাকে জবানবন্দি দেয়ার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়েছে।
  
উজিরপুরে ধর্ষণ করতে না পেরে এক গৃহবধুকে কুপিয়ে গুরুতর জখম, মামলা দায়ের
Posted: 14 May 2011 03:58 AM PDT

গুরুতর আহত গৃহবধু জেসমিন
উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় গুরুতর আহত গৃহবধু জেসমিন (ছবিঃ আমাদের বরিশাল ডটকম)

উজিরপুর, ১৪ মে (এমদাদুল কাশেম সেন্টু/আমাদের বরিশাল ডটকম): উজিরপুরে ধর্ষণ করতে না পেরে জেসমিন নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে এক নরপশু। আহত গৃহবধু এখন উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উজিরপুর উপজেলা সদরের উত্তর মাদার্শী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


জানা গেছে, ১৩ই মে শুক্রবার জেসমিনের পিতা মাতার অনুপস্থিতিতে ঘরে গৃহবধুকে একা পেয়ে বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তার চাচাত ভাই রফিক। জেসমিন তাকে চিনতে পারলে নরপশু জেসমিনকে ধারালো চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৮/১০ টি কোপ করে। জেসমিন গুরুতর আহত অবস্থায় ডাক চিৎকার দিলে আশেপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে বখাটে রফিক পালিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় গৃহবধু জেসমিনকে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করে।

গৃহবধু জেসমিন উত্তর মাদার্শী গ্রামের জাকির হাওলাদারের কন্যা। ৪ বছর আগে জেসমিনকে বড়াকোঠার নরসিংহা গ্রামের আবু সালেক হাওলাদারের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। স্বামী সালেক ঢাকায় একটি গার্মেন্টস কোম্পানীতে চাকুরী করার কারণে জেসমিন একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে নিরাপদে থাকার আশায় পিত্রালয়ে উত্তর মাদার্শী গ্রামে বসবাস করত।

গুরুতর আহত জেসমিন জানিয়েছেন, তার চাচাত ভাই রফিক তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তিনি জানান, ‘আমি বাধা দিলে ও তাকে চিনে ফেললে আমাকে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনার ৮/১০ দিন আগে সে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিল।
জেসমিনের পিতা জাকির হাওলাদার জানিয়েছেন তার ঘরে থাকা নগত ২৪ হাজার টাকাও লুটে নেয় রফিক।

এ ব্যাপারে উজিরপুর থানার ওসি সুকুমার রায় আমাদের বরিশাল ডটকমকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আজ শনিবার দুপুরে ধর্ষণ চেষ্টা ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জেসমিনের পিতা জাকির হাওলাদার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।



আগৈলঝাড়ায় এক উত্যক্তকারীকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিলেন শিক্ষকরা
Posted: 14 May 2011 03:23 AM PDT

আগৈলঝাড়া, ১৪ মে (সাইদুর রহমান স্বপন/আমাদের বরিশাল ডটকম): বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে ১ উত্যক্তকারীকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা। আজ শনিবার স্কুল চলাকালীন সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার গৈলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করত দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের নুরুল হক হাওলাদারের বখাটে পুত্র শিপন হাওলাদার। আজ শনিবার স্কুল চলাকালীন সময় ছাত্রীদের উত্যক্ত করার সময় শিক্ষকরা ধাওয়া করে শিপনকে ধরে ফেলে। উত্তম মাধ্যম ও কানধরে উঠবস করানোর পরে তার পিতা নুরুল হককে ডেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয় বখাটে শিপনকে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।



বরগুনায় অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানী, থানায় মামলা দায়ের
Posted: 15 May 2011 04:56 AM PDT


ধর্ষণ 

বরগুনা, ১৫ মে (মনির হোসেন কামাল/আমাদের বরিশাল ডটকম): স্কুল ছুটির পরে চাচাত বোনের সাথে বাসায় ফেরার পথে আজ রোববার দুপরে বরগুনা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৩) রিক্সা থেকে টেনে হেঁচড়ে বাসার ভিতরে নিয়ে শ্লীলতাহানী করা হয়েছে। পনের মিনিট পরে কিশোরীকে উদ্ধার করা হলেও বখাটে জসীম পালিয়ে গেছে। বরগুনা থানায় এব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বরগুনা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী দোলা জানান, স্কুল ছুটির পরে চাচাত বোনকে নিয়ে তারা দুজন বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে আবদুল জব্বার আড়ৎদারের বখাটে ছেলে জসীম তার চাচাত বোনকে টেনে হেঁচড়ে লতিফ আড়ৎদারের বাসায় নিয়ে শ্লীলতাহানী করে। তাদের চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে ছাত্রীকে উদ্ধার করেন।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল খালেক হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বখাটেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Wednesday, May 11, 2011

May Date - (01-10)

গৌরনদীতে ছাত্রী উত্যক্তকারীকে ভ্রাম্যমান আদালতের কারাদন্ড ও জরিমানা
Posted: 01 May 2011 10:12 AM PDT

বরিশাল, ১ মে (আমাদের বরিশাল ডটকম ডেস্ক): গৌরনদীতে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় ভ্রাম্যমান আদালত এক উত্যক্তকারীকে ১ বছর কারাদন্ড এবং অপর তিন উত্যক্তকারীকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেছেন। আজ রবিবার গৌরনদী থানা পুলিশের সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ দন্ড ও জরিমানা প্রদান করেন।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সানজিদা ইসলাম সুমি (১৪) নামে সপ্তম শ্র্রেনীর এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে বাচ্চু বেপারী (১৮), রোয়েল বেপারী (১৪), রাজিব বেপারী (১৭), মোঃ সোহেল (১৮)। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে আজ রবিবার ভ্রাম্যমান আদালত আসামী বাচ্চু বেপারী (১৮) কে ১ বছর কারাদন্ড এবং অপর তিনউত্যক্তকারীকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন।

অপহরণের ১০ দিন পর ডুমুরিয়ার এক স্কুল ছাত্রী কেশবপুর থেকে উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডুমুরিয়া(খুলনা) অপহরণের ১০ দিন পর গত  রোববার ডুমুরিয়া পুলিশ এক স্কুল ছাত্রীকে কেশবপুর উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে।
 
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল সকালে পাইকগাছা উপজেলার মাহমুদকাটি গ্রামের পূর্বপরিচিত পলাশ দাস ওরফে নাটো ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের ঋষিপাড়ার ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায়।  ঘটনায় ২৩ এপ্রিল মেয়ের বাবা বাদী হয়ে জনকে আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় অপহরণ মামলা করেন। গত রোববার পুলিশ  কেশবপুর উপজেলা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া  মেয়েটি গতকাল সোমবার ডুমুরিয়া থানায় দাঁড়িয়ে বলেন, পূর্ব পরিচিত পলাশ আমারে বিয়ের কথা বলে ডুমুরিয়া থেকে নিয়ে  যেয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছে বুঝতে পেরে আমি চিকার করে কান্নাকাটি করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।
 
প্রসঙ্গে উপ-পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়রা উপজেলা থেকে আসামি রম্নপ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করার পর তার স্বীকারোক্তিতে মেয়েটিকে কেশবপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে

কলারোয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু


নিজস্ব সংবাদদাতা॥

কলারোয়া(সাতক্ষীরা): কলারোয়ায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, ওই গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে পিতার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গৃহবধূর নাম তাছলিমা খাতুন (২৫) গত রোববার উপজেলার খাসপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।


পুলিশ
গ্রামবাসি সূত্র জানান, উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মোসলেম গাজীর  মেয়ে তাছলিমা খাতুন বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী খাসপুর গ্রামের শওকত আলির সাথে। স্বামী শওকত আলি পেশায় একজন ভ্যান চালক। বিয়ের পর সে থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলো। স্ত্রী তাছলিমা খাতুন তার বাবার বাড়ি থেকে  যৌতুকের টাকা আনতে না পারায় তার ওপর নেমে আসতো অমানুষিক নির্যাতন। গত রোববার সকাল টার দিকে স্বামী শওকত আলি ফের যৌতুকের টাকা দাবি করে তাছলিমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে। বিষাদময় পরিসিতি থেকে চিরমুক্তি পেতে তাছলিমা খাতুন বিষপান করে। পরে তাকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়। তাছলিমার পিতার অভিযোগ, তার মেয়েকে পিটিয়ে মেরে ফেলে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশ ঘটনাস পরিদর্শন শেষে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে

মোল্লাহাটে গৃহবধূর উপর হামলা শ্লীলতাহানি, জনের বিরদ্ধে মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা

মোলস্নাহাট(বাগেরহাট)- মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল  গ্রামে তরুণ দত্ত ওরফে কাজল স্ত্রী শিবানী রানীকে মারপিট করে আহত করেছে প্রতিপড়্গ। সময় শিবাণী রানীর শসনীলতাহানিসহ তার ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের চেন ছিনতাই হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরধরে ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ এলাকাবাসী জানায়, কাজ দত্ত শিবানী রানীকে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে প্রথম স্ত্রী মালতি রাণীর সাথে কলহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মীমাংসাকে কেন্দ্র করপ্রতিবেশী নির্মল দত্ত, গোপাল মিত্র রবীন দত্তসহ / জন ব্যক্তি ষড়যন্ত্র শুরম্ন করে এবং কলহ লাগিয়ে রাখে।
 
গত
শনিবার দুপুর ১২টায় উলিস্নখিত ব্যক্তিরা সম্মিলিতভাবে  কাজল দাত্তের  ঘরে ঢুকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিবানীকে মারপিট শুরম্ন করে তারা শস্নীলতাহানি ঘটানহয়। সময় কাজল ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করে আহত করা হয় এবং তার মটর সাইকেলের চাবি নিয়ে যায়। হামলাকারীরা শিবানীর গলা  থেকে ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়।
 
ব্যাপারে কাজল বাদী হয়ে শনিবার জনকে আসামী করে মোলস্নাহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-২০


আগৈলঝাড়ায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা, ধর্ষক গ্রেফতার
Posted: 03 May 2011 09:16 AM PDT

ধর্ষণ
আগৈলঝাড়া, ৩ মে (সাঈদুর রহমান স্বপন/আমাদের বরিশাল ডটকম): বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ৮ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ য়টনায় থানায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সেরাল গ্রামের দরিদ্র কৃষকের মেয়ে দক্ষিণ গৈলা গ্রামে নানা বাড়িতে থেকে গৈলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করত। গতকাল সোমবার রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে ওই ছাত্রী একই বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঘরে কুপি ধরাতে গেলে আলাম আকনের বখাটে ছেলে শাওন আকন (২২) ঝাপটে ধরে মুখ বেধে ধর্ষন করে রক্তাক্ত করে। বাড়ির লোকজন টেরপেয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেয়া হয়। রাতেই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২০০০ (সংশোধিত) ০৩ এর ৯(১) ধারায় শাওনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন, যার নং ৪ (০৩/০৫/২০১১)।

আজ মঙ্গলবার ধর্ষককে আগৈলঝাড়া উপজেলার রামেরবাজার নামক স্থান থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই জসিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গ্রেফতার করেন। ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আজ বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৭০ বছরের বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদন্ড


॥ সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ॥

৮ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ৭০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামী খন্দকার অমেদ আলী (৭০) পলাতক রয়েছে। সে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। গতকাল বুধবার সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এফএম রেজানুর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত রায়ে আসামীকে যাবজ্জীবন সাজা ছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর সকালে খাবার কিনে দেয়ার নাম করে সাতক্ষীরার পাকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ৮ বছর বয়সী মেয়েকে প্রতিবেশী আসামী খন্দকার অমেদ আলী তার বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে শিশুটির মা জোহরা খাতুন এসে রক্তাক্ত অবস’ায় মেয়েকে উদ্ধার করে। এঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারী মামলার তদনত্ম কর্মকর্তা এস.আই আব্দুল হক ধর্ষক অমেদ আলীর বিরম্নদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত ১৩ জন সাক্ষী ও মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আসামীর বিরম্নদ্ধে উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। আসামী দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে পলাতক রয়েছে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদা আক্তার বানু।


২০০১ সালের নির্যাতন: গণধর্ষণের মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জ, মে ০৪।

২০০১ সালের নির্বাচনের পর সিরাজগঞ্জের এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের দায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। ঘটনার ১০ বছর পর বুধবার সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক ওসমান হায়দার এ মামলার রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল জলিল (৪০), আলতাফ হোসেন (৩৫), আব্দুল মোমিন (২৮), আলতাফ হোসেন-২ (২৮), জহুরম্নল ইসলাম (২৮), হোসেন আলী (২৮), লিটন শেখ (২৮), ইয়াছিন আলী (৩৭), আব্দুর রউফ (৪০), আব্দুল মিয়া (২৮), বাবলু মিয়া (২৮)। কারাদন্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করেছে আদালত। এদের মধ্যে পাঁচ জন পলাতক। তারা হলেন- মোমিন, আলতাফ-২, জহুরম্নল, আব্দুল মিয়া ও বাবলু। অন্য ছয় জনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

বিডিনিউজ জানায়: ২০০১ সালে নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু ও ভিন্ন রাজনৈতিক মতের মানুষের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়, তারই ধারাবাহিকতায় ৮ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের উলস্ন্লাপাড়া উপজেলার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা রানীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় পূর্ণিমার বাবা অনিল শীল ১০ অক্টোবর উলস্ন্লাপাড়া থানায় মামলা করতে যান। কিন’ আসামিরা বিএনপিদলীয় নেতাকর্মী হওয়ায় পুলিশ মামলা নিয়ে টালবাহানা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে ২৪ অক্টোবর পূর্ণিমা নিজেই সিরাজগঞ্জের আমলি আদালতে ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।


কলাপাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা, গ্রেফতার ১
Posted: 05 May 2011 09:17 PM PDT

ধর্ষণ
পটুয়াখালী, ৬ মে (সঞ্জয় কুমার দাস/আমাদের বরিশাল ডটকম): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের পর দিনভর আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে লম্পটরা। কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এক দিন পর ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বুধবার রাতে কলাপাড়া থানায় প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা শাহজাহান মুন্সী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে বুধবার রাতে কলাপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ রুবেল গাজী (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। অপরদিকে ধর্ষীতার ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে।


পুলিশ সূত্রে ও মামলার এজাহারে জানা যায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার পশ্চিম খাঁজুরা গ্রামের দিন মজুর শাহজাহান মুন্সীর কিশোরী মেয়েকে বাড়ীতে রেখে সোমবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে বাগদা চিংড়ির রেনু আহরনে যায়। এ সময় একই এলাকার বাদশাহ গাজীর ছেলে রুবেল গাজী (২২) ও আবদুল মজিদ হাওলাদারের ছেলে দুলাল (৩০) ওই কিশোরীকে বাড়ীতে একা পেয়ে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে মৎস্যবন্দর আলীপুরের সেরাজ মোল্লার বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে লম্পটরা পালাক্রমে ধর্ষন করে আটকে রাখে। গত মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়দের সহায়তায় মহিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আবুল কাশেম কিশোরীকে উদ্ধার করে কলাপাড়া থানায় প্রেরন করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শফিকুল ইসলাম আমাদের বরিশাল ডটকমকে জানান, মামলার পর পরই পুলিশ রুবেল গাজীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। অপর আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।


বরগুনায় বিয়ের নামে ১ বছর ধরে ধর্ষন ও প্রতারণাঃ ধর্ষকের বিচার দাবী
Posted: 05 May 2011 03:28 AM PDT

বিধবা মা সঙ্গীতা রানী

মেয়েকে ধর্ষণ ও প্রতারনার বিচার দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন বিধবা মা সঙ্গীতা রানী (ছবিঃ আমাদের বরিশাল ডটকম)

বরগুনা, ৫ মে (মনির হোসেন কামাল/আমাদের বরিশাল ডটকম): প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বরগুনার আমতলী উপজেলার বেহালা গ্রামের পিতৃহীন যুবতীকে (২১) গত ১ বছর ধরে ধর্ষন করা হয়েছে। তাকে ধর্ষন ও প্রতারনার অভিযোগে বরগুনা সদর উপজেলার দক্ষিন হেউলীবুনিয়া গ্রামের রবীন্দ্রনাথ হাওলাদারের ছেলে বিশ্বজিৎ ওরফে কালাসহ ৩ জনকে আসামী করে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার রাতে বেহালা গ্রামের সঙ্গীতা রানী বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ২ বছরের কন্যা সন্তান রেখে তার স্বামী  সুরেশ চন্দ্র মিস্ত্রী ১৯ বছর আগে মারা যান। দারিদ্রতার কারনে তিনি তার মেয়েকে নবম শ্রেনীর পরে আর পড়াতে পারেননি।

ধর্ষিতা যুবতী জানান, গত ২ বছর আগে বিশ্বজিতের সাথে তার পরিচয় হয়েছে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত (২০১০) বছরের ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্বজিৎ চন্দ্র সূর্য্য সাক্ষী রেখে তাকে বিয়ে করার কথা বলে স্বামী-স্ত্রী রূপে মেলামেশা শুরু করে। সেই থেকে যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষন করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল হেউলীবুনিয়া ব্রীজ সংলগ্ন হেপী বেগমের বাসায় তাদের দুজনকে এলাকাবাসী আপত্তিজনক অবস্থায় আটক করে পুলিশে খবর দেয়। বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক বনি আমিন তাদেরকে থানায় নিয়ে আসলেও বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

পরবর্তীতে বিয়ে করতে অসম্মতি জানালে যুবতি নিজেই বাদী হয়ে বিশ্বজিৎ, তার বাবা রবীন্দ্রনাথ হাওলাদার ও যুগল চন্দ্র হাওলাদারকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। যুবতী ও তার মা দাবী করেন, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদেরকে আসামীরা হত্যা করার হুমকী দিচ্ছে। তারা জীবনের নিরাপত্তাসহ বিচার দাবী করছেন।


ভোলার তজুমদ্দিনে প্রেমিকের বাড়িতে এসে এক কিশোরীর আত্মহত্যা
Posted: 06 May 2011 03:32 AM PDT

তজুমদ্দিন, ৬ মে (এম নুরুন্নবী/আমাদের বরিশাল ডটকম): ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে প্রেমিকের বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেছে রুবিনা (১৪) নামের এক কিশোরী। এ ব্যাপারে তজুমদ্দিন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।

স্থানীয় ও থানা সূত্র জানায়, উপজেলার সোনাপুর সৃষ্টিধর গুহ গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে রুবিনা (১৪) এর পার্শ্ববর্তী শাজাহান সরদারের ছেলে আমজাদ হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন মন দেয়া নেয়া চলছিল। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হবার কথাও ছিল। হঠাৎ করে গত ২/৩ দিন পূর্বে আমজাদ ও তার পরিবার অন্যত্র মেয়ে দেখে এ্যানগেজমেন্ট করে। এ খবর কিশোরী রুবিনা সহ্য করতে না পেরে প্রেমিক আমজাদ হোসেনের বাড়িতে এসে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গাছের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

তজুমদ্দিন থানার এসআই আঃ রহিম আমাদের বরিশাল ডটকমকে জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পোষ্টমর্টেমের জন্য ভোলা মর্গে পাঠান। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার তজুমদ্দিন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ৩।


বোনকে হত্যার পর ভাইয়ের আত্মসমর্পণ

ঢাকা, মে ০৬।- রাজধানীর মাদারটেকে বোনকে কুপিয়ে হত্যার পর সবুজবাগ থানায় আত্মসমর্পণ করেছে এক কলেজ ছাত্র। শুক্রবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম রেখা আক্তার (৩৫)। তিনি ৮ বছর আগে ধর্মানত্মরিত হয়ে মুসলমান হন। তার স্বামী কামরম্নল ইসলাম সুমন সিঙ্গাপুর প্রবাসী।

বিডিনিউজ জানায়: সরকারি নজরম্নল কলেজের স্নাতক সম্মান শ্রেণীর ছাত্র মিঠুন বালাকে সবুজবাগ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেন জানান, শুক্রবার ভোর রাত ২ টার দিকে মিঠুন মাদারটেকে একটি ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে রেখাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। রেখাকে হত্যার পর মিঠুন ঘটনাটি বাড়ির মালিকের পুত্রকে জানায় এবং পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করাতে বলে। পুলিশ রাত ৩টার দিকে ওই বাসা থেকে রেখার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।এসআই মোক্তার হোসেন বলেন, “অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে মিঠুন বোনকে হত্যা করেছে বলে পুলিশকে জানায়।” রেখার মাথায় কোপের চিহ্ন রয়েছে। তার বাবার নাম জীতেন বালা। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের বানিয়ার চরে।


বরিশালে যৌতুক ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
Posted: 07 May 2011 10:38 AM PDT

বরিশাল, ৭ মে (আমাদের বরিশাল ডটকম ডেস্ক): বরিশালের সদর উপজেলার আস্তাকাঠী গ্রামে আয়শা বেগম নামের এক গৃহবধূ যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। একটি দামী নতুন মোবাইল সেট যৌতুকের দাবীতে এ গৃহবধুকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আজ শনিবার সকালে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন এক সন্তানের জননি আয়শা বেগম। আয়শার পরিবারের দাবী, আয়শাকে জোর করে বিষপান করানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আয়শার স্বামী আলমগীর মিয়া পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৪ বছর পূর্বে বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের আস্তাকাঠীর ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানিক হাওলাদারের মেয়ে আয়শার সাথে বিয়ে হয় পাশ্ববর্তি ৮ নং ওয়ার্ডের মঞ্জুর আলীর ছেলে আলমগীরের। বিয়ের পর আয়শার সুখের জন্য পিতাকে তার মেয়ে জামাতাকে একধিকবার যৌতুক দিতে হয়। আর কখনো যৌতুক দিতে বিলম্ব হলেই আয়শার উপর চলে অকথ্য নির্যাতন।
সর্বশেষ গত এক মাস ধরে আলমগীর মিয়া তার স্ত্রী আয়শার পরিবারের কাছে একটি দামি মোবাইল সেট দাবী করে। আয়শার পরিবার থেকে একটি মোবাইলও কিনে দেয়া হয়। কিন্তু মোবাইলটি কম দামী হওয়ায় গত ২ দিন পূর্বে আয়শাকে মারাধর করে ঘর থেকে বেড় করে দেয়া হয়। আয়শা তার পিতার ঘরে ওঠলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা এ নিয়ে শালিস বৈঠক করেন এবং আয়শাকে তার স্বামীর ঘরে উঠিয়ে দেয়া হয়। এরপরও যৌতুক লোভী স্বামী আলমগীর তার স্ত্রীকে মারধর করে। তাই স্বামীর নির্যাতন থেকে পরিত্রান পেতে আজ শনিবার সকালে বিষ পান করে আয়শা। তাকে বেলা ১১টায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সে মারা যায়।
এদিকে মৃত আয়শার পরিবারের দাবী, আয়শাকে জোর করে বিষপান করানো হয়েছে। পাশাপাশি আয়শার মরদেহ দেখতে তার স্বামীর বাড়ীর কেউই আসেনি। একই সাথে ঘটনার পর স্বামীও পলাতক রয়েছে বলে জানাগেছে।



gv¸ivq wkï al©‡Yi `v‡q hve¾xeb Kviv`Û
†g 09, 2011, †mvgevi : ˆekvL 26, 1418


g„wËKv mvnv: cvuP eQ‡ii wkï‡K al©‡Yi `v‡q AvR `ycy‡i gv¸ivq ˆmq` evejy †nv‡mb (45) bv‡g GK e¨w³i hve¾xeb Kviv`Ê n‡q‡Q|bvix I wkï wbh©vZb `gb U«vBey¨bv‡ji wePviK AwZwi³ `vqiv RR gywReyi ingvb `ycyi 2Uvi w`‡K G ivq †`b| mvRvcÖvß evejy m`i Dc‡Rjvi RM`j BDwbq‡bi ˆmq` i“cvwU MÖv‡gi wjqvKZ Avjxi †Q‡j| miKvi c‡¶i mnKvix †KŠumywj (Gwcwc) ˆmq` wd‡ivRyi ingvb Rvbvb, 2008 mv‡ji 29 Ryb we‡K‡j evejy Zvi GK cÖwZ‡ekxi cvuP eQ‡ii Kb¨vwkï‡K PK‡jU †`Iqvi cÖ‡jvfb †`wL‡q †Rvic~e©K al©Y K‡i| †m mgq wkïwUi wPrKv‡i GjvKvevmx NUbv¯’‡j G‡m Zv‡K D×vi K‡i gv¸iv m`i nvmcvZv‡j fwZ© K‡i| NUbvi ciw`b wkïwUi gv ev`x n‡q evejy‡K Avmvwg K‡i gv¸iv m`i _vbvq gvgjv `v‡qi K‡ib| c‡i cywjk Zv‡K †MÖßvi K‡i| c‡i wPwKrmv cÖwZ‡e`b I mv¶¨ cÖgv‡Yi wfwˇZ wePviK Avmvwgi Dcw¯’wZ‡Z G `Êv‡`k †`b| evsjvwbDR


MvBevÜvq ¯^vgx Lyb, ¯¿x AvUK
†g 09, 2011, †mvgevi : ˆekvL 26, 1418

Avey †nbv Zvm‡gix: MvBevÜvq ¯¿xÕi QywiKvNv‡Z ¯^vgx Avwgbyj Bmjv‡gi (28) g„Zz¨ n‡q‡Q| MZiv‡Z MvBevÜvi evw`qvLvjx BDwbq‡bi PK ei“j MÖv‡g G NUbv N‡U| AvR mKv‡j cywjk wbn‡Zi jvk D×vi K‡i ¯¿x wgbviv †eMg‡K (25) AvUK K‡i‡Q| cÖZ¨¶`k©xiv Rvbvq, A‰bwZK KvR I mvsmvwiK welq wb‡q `xN©w`b hveZ ¯^vgx Avwgbyj Bmjv‡gi m‡½ ¯¿x wgbviv †eM‡gi Ø›Ø^ P‡j AvmwQj| GiB †Ri a‡i MZiv‡Z ¯¿x weQvbvq Nygš— Ae¯’vq aviv‡jv QywiKvNv‡Z ¯^vgx‡K nZ¨v K‡i| MvBevÜv _vbvi fvicÖvß Kg©KZ©v gwkDi ingvb Rvbvb, G e¨vcv‡i _vbvq gvgjv n‡q‡Q| jvk D×vi K‡i g‡M© cvVv‡bv n‡q‡Q| kxl© wbDR




রাজাপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবন্দি করে এক সন্তানের জননীকে নির্যাতনঃ ঘরের তালা ভেঙ্গে উদ্ধার
Posted: 09 May 2011 11:53 AM PDT

রাজাপুর, ১০ মে (রহিম রেজা/আমাদের বরিশাল ডটকম): ঝালকাঠির রাজাপুরের হাইলাকঠি গ্রামের এক সন্তানের জননী নাজমিন আক্তার (২২) কে গৃহবন্দি করে নির্যানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাজমিনের মা রাশিদা বেগম এ ব্যাপারে ঝালকাঠি কোর্টে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কোর্টের নির্দেশে গতকাল সোমবার সকালে রাজাপুর থানা পুলিশ ঘরের তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাংগর গ্রামের মোঃ দুলাল হাওলাদারের মেয়ে নাজমিনের সাথে হাইলাকাঠি গ্রামরে মকবুল খাঁর ছেলে সুমন খাঁর সাথে সাড়ে ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বর্তমানে নাজমিনের ৯ মাস বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে নাজমিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে গৃহবন্দি করে অমানুষিক নির্যাতন করে পাসন্ড স্বামী সুমন ও তার পরিবারের লোকজন।
নাজমিনের মা রাশিদা বেগম এ ব্যাপারে ঝালকাঠি কোর্টে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কোর্টের নির্দেশে গতকাল সকালে রাজাপুর থানার এসআই সৈয়দ সেকান্দারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে ঘরের তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার এসআই সৈয়দ সেকান্দার জানান, কোর্টের নির্দেশে তাকে উদ্ধার করে কোর্টে প্রেরণ করেছি। তবে সুমন ও তার পরিবারের কাউকে বাড়িতে পায়নি পুলিশ।