বাকেরগঞ্জ, ৫ জুন (দানিসুর রহমান লিমন/আমাদের বরিশাল ডটকম): বাকেরগঞ্জে আজ একদিনেই মোবাইল পরকীয়ায় চার গৃহবধূ ঘর ছেড়ে পালিয়েছে অন্যের হাত ধরে।
থানা সুত্রে জানা গেছে, কবাই ইউনিয়নের ঢোলা গ্রামের জালাল সিকদারের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী লাকি বেগম (২৫) তার সন্তানদের ফেলে রেখে স্বর্নালংকার ও ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আজ বাড়ী থেকে চলে যায় একটি ছেলের হাত ধরে। লাকি বেগমের স্বামী জালাল জানান, লাকি মোবাইল ফোনে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল।
গারুড়িয়া ইউনিয়নের বটবালি গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম শামীমের স্ত্রী এক সন্তানের জননী তানিয়া আক্তার (২২) তার শিশু সন্তানকে ফেলে মোবাইল ফোনে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে আকবর রিয়াজ নামের একটি ছেলের সাথে আজ কুয়াকাটা পালিয়ে গেছে।
অপরদিকে খুলনা থেকে যমুনা অয়েলে কর্মরত জেএম সালাউদ্দিনের কন্যা ফারজানা আফরিন দোলা (২১) মোবাইল ফোনে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে বাকেরগঞ্জের কলসকাঠীর খন্দকার ইমাম হোসেন মিন্টু নামের একটি ছেলের কাছে ১৩ দিন পূর্বে চলে এসে আজ থানা পুলিশের হাতে ধরা পরেছে। ফারজানা আফরিন দোলা জানান, সে মিন্টুকে বিয়ে করেছে। তার পূর্বের স্বামী নাছিম নেশাগ্রস্থ, মাতাল। সে প্রতিদিনই তাকে (দোলা) শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল। এদিকে তার পূর্বের স্বামী নাছিম উর্ব্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে দোলাকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে দোলা নাছিমের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের নিকট প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে কেঁদে দেয়।
অপরদিকে, স্থানীয় লেখক মোকছেদের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রুবি বেগম (৩৫) কাউকে কিছু না বলে আজ নিরুদ্দেশ হয়েছেন। এ ঘটনায় তার স্বামী মোকছেদ থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছেন।
এসব ঘটনাগুলো নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেক গৃহবধূর স্বামী আজ রবিবার লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শহিদুলের শরনাপন্ন হয়েছেন।
এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে সমাজের কিছু মানুয়ের নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয়টি নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে। বর্তমানকালের সামাজিক বন্ধনের নাজুক অবস্থাই কি এজন্য দায়ী?
-
0 comments:
Post a Comment