February Date - (11-20)

কুয়াকাটার ইকোপার্ক থেকে অজ্ঞাত তরম্নণীর লাশ উদ্ধার

ফেব্রুয়ারী 11, 2011

॥ অশোক মুখার্জী  ॥

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)ঃ কলাপাড়ার পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় ইকোপার্ক বাগান থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক পর্যটক তরম্নণীর(১৯) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ তরম্নণীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদনেত্মর জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, ইকোপার্কের ঝাউ বাগান দিয়ে স’ানীয় জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে তরম্নণীর মৃতদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মুনির জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তরম্নণীকে তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে লাশ বাগানে ফেলে রাখা হয়। তরম্নণীর গলায় কালো দাগ রয়েছে। তার পরনে লাল পাজামা, খয়রি রংয়ের প্রিন্টের কামিচ ও লাল ওড়না ছিল। এ সময় লাশের পাশ থেকে এক জোড়া হাওয়াই চপ্পল উদ্ধার করা হয়।

রাজবাড়ীতে যৌনহয়রানিকারীর সাজা

ফেব্রুয়ারী 12, 2011

 

রাজবাড়ী,ফেব্রম্নয়ারি১২।-মাদ্রাসা ছাত্রীকে  যৌন হয়রানি (ইভটিজিং) করায় রাজবাড়ীতে এক যুবককে এক মাস কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিডিনিউজ জানায়: শনিবার দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম মাহবুবুল করিম এ দন্ডাদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত নাফিজউদ্দিন (২৬) বালিয়াকান্দির ভররামদিয়া গ্রামের তেতুলিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ( যৌন হয়রানি) করেছিলো। ইউএনও জানান, সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ওই ইউনিয়নেরই এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে নাজিম। ওই সময় এলাকাবাসী নাফিজকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে ইউএনও গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নাফিজকে কারাদন্ড দেন।

রামপালে যৌন হয়রানির অভিযোগে যুবকের ১ বছর কারাদন্ড

ফেব্রুয়ারী 14, 2011

॥ বাগেরহাট ব্যুরো ॥

বাগেরহাটের রামপালে কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে এক যুবককে ১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরম্নল করিম ভূইয়া এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত হল রামপাল উপজেলার বড় দুর্গাপুর গ্রামের আঃ আজিজ শেখের ছেলে জনি শেখ (১৮)।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, রাজনগর ইউনিয়নের চরঘোনা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ে দ্বিগরাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে ওই যুবক দীর্ঘদিন  যৌন হয়রানি করে আসছিল। এ ঘটনায় কলেজ পড়-য়া ওই ছাত্রী রামপাল থানায় একটি অভিযোগ দেয়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে রামপাল থানা পুলিশ অভিযুক্ত জনি শেখকে  গ্রেফতার করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এই কারাদন্ড দেন।

জিয়ানগরে এক কলেজ ছাত্রী ইভটিজিংয়ের শিকার, ইভটিজারের হাতে কলেজ ছাত্র লাঞ্ছিত

ফেব্রুয়ারী 15, 2011

। জিয়ানগর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।।

জিয়ানগরে এক কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিং করলে তাতে বাধা দিলে ইভটিজারদের হাতে কলেজ ছাত্র লাঞ্ছিত হয়েছে। এনিয়ে জিয়ানগর ডিগ্রী কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, উপজেলা পরিষদসহ জিয়ানগর বাজারে ছাত্র ও অভিভাবকের  মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী কলেজ ছাত্ররা জানান, রোববার জিয়ানগর ডিগ্রী কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস শেষে বাড়ী ফেরার পথে পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের বশির খান নামক এক যুবক একই গ্রামের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী মেহেদী আক্তার মুনাকে দু’হাত ধরে উঁচু করে জাগিয়ে ধরে এবং বখাটে যুবক ঐ ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে কলেজ ছাত্র জুয়েলসহ অনেকে বাধা দিলে স’ানীয় আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করে। পরে মঙ্গলবার বখাটে বশির খানের নেতৃত্বে পিরোজপুর থেকে ৫/৬ জনা ভাড়াটিয়া লোক এনে  উপজেলা পরিষদ চত্বরে কলেজ ছাত্র জুয়েলকে ডেকে নিয়ে মারধর করে লাঞ্ছিত করে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে এলাকায় ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ইভটিজারদের  খুঁজতে  থাকে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী তোফায়েল হোসেন ইভটিজারদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস’া নিবে বলে আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে মুনার ভাই হেফজুল জানান, বখাটে বশির তার বোনের মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের এস এম এস দিয়ে উত্ত্যক্ত করছে এবং হুমকি দিচ্ছে।

চৌগাছায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কলেজ ছাত্রীসহ মাকে পিটিয়ে জখম

ফেব্রুয়ারী 17, 2011

॥ নিজস্ব সংবাদদাতা ॥

চৌগাছা(যশোর): যশোরের চৌগাছায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কলেজ ছাত্রীসহ তার মাকে পিটিয়ে জখম করার অপরাধে জুলমত ওরফে জালিম নামের এক যুবককে ১ মাসের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জানা যায়, উপজেলার সীমানত্মবর্তী গ্রাম আন্দুলিয়া মাধবপুর থেকে প্রতিদিন ১৫ কিঃ মিঃ দূরে চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা অনার্স কলেজে আসা-যাওয়ার পথে আন্দুলিয়া গ্রামের শাহাদৎ ডাকাতের বখাটে পুত্র জুলমত ওরফে জালিম (২৮) তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। গত বুধবার বাড়ী থেকে প্রাইভেট পড়তে চৌগাছায় আসার পথে জুলমত তাকে কু-প্রসত্মাব দেয়। এতে রাজী না হওয়ায় গ্রামের কাঁচা রাসত্মায় জুলমত তাকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে জুলমত তাকে মারধর শুরম্ন করলে তার চিৎকারে মা নুরজাহান বেগম ছুটে আসলে তাকেও মারপিট করে বখাটে জুলমত ও তার সহোদর বাবু (২০)। মা-মেয়ের চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর  বেলা ১১টার দিকে চৌগাছা থানায় মামলা করতে যাওয়া হলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদের ফেরত দেয়। বিকালে কলেজ অধ্যড়্গ ড. মুসত্মানিছুর রহমানের প্রচেষ্টায় প্রভাষক ও দৈনিক নয়াদিগনেত্মর চৌগাছা সংবাদদাতা ইয়াকুব আলীর সহায়তায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে রাতে থানা পুলিশ জুলমতকে গ্রেফতার করে। স’ানীয় সাংবাদিকদের হসত্মড়্গেপে নানা নাটকীয়তার পর গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াৎ হোসেনের আদালত জুলমতকে ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। এদিকে জুলমতের পরিবার ঐ ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি  দেয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই কলেজ ছাত্রী।

কচুয়ায় এক যুবকের উপর নিষ্ঠুর নির্যাতন

ফেব্রুয়ারী 17, 2011

॥ নিজস্ব সংবাদদাতা ॥

কচুয়া(বাগেরহাট)।- কচুয়ায় পূর্ব শত্রম্নতার জের হিসেবে এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ কর্তন করেছে সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধবকাঠি গ্রামের খলিল হাওলাদারের পুত্র মঞ্জুর হাওলাদার(২২)এর বিশেষ অঙ্গ গত ১৪ ফেব্রম্নয়ারি রাত ৮টায় জোরপূর্বক কেটে দেয় মাসুম হাওলাদার ও শহিদ সর্দারসহ আর অজ্ঞাত ৩/৪ জন সন্ত্রাসী।
জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় মঞ্জুর নিজ বাড়ির উত্তর পার্শ্বে নিজেদের ঘেরে খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় মাসুদের বাড়ির উঠানে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মাসুদ, শহিদসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন সন্ত্রাসী মঞ্জুরের পিছন থেকে এসে চোখ বেঁধে ফেলে এলোপাথাড়ী পেটায়। এক পর্যায়ে মঞ্জুরের হাত বেঁধে চাকু দিয়ে বিশেষ অঙ্গ থেকে কেটে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কচুয়া হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মঞ্জুর ঢাকায় মৃত্যুর সংগে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানায় মঞ্জুরের পিতা খলিল হাওলাদার বাদী হয়ে সন্ত্রাসী মাসুদ হাওলাদার(৩০), শহিদ সরদার(২৫) সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-০৫, তাং১৫/০২/১১।

বহুবিবাহের নায়ক ভুয়া প্রফেসর ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার

ফেব্রুয়ারী 17, 2011

।। নিজস্ব সংবাদদাতা।।

রূপসা(খুলনা): বহুবিবাহের নায়ক, ভুয়া প্রফেসর, বাগেরহাট সদর উপজেলার এলাহি বক্স (৪৮) অবশেষে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। প্রতারণা করে অসংখ্য মহিলাকে প্রহসনমূলক বিয়ের করার ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির দৃষ্টানত্মমূলক শাসিত্মর দাবি করেছে প্রতারিত মহিলারা। পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা  গেছে, উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৭) কে ভুয়া পরিচয় ও ভুয়া কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রম্নয়ারী বিয়ে করার পর ভুয়া হাফেজ এলাহি বক্স স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একত্রে থাকে। গত ১৭ ফেব্রম্নয়ারী এলাকাবাসীর জেরার মুখে তার প্রকৃত অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা ফাঁস হয়। সমপ্রতি এলাহি বক্স আনন্দনগর এলাকায় বিভিন্ন মসজিদের নামে চাউল তুলতে এসে উক্ত মাদ্রসা ছাত্রীর সাথে পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে মোবাইলে প্রেমজ সম্পর্কে সূত্রধরে বিয়ে হয়। প্রতারক ভুয়া হাফেজ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে ৩০ বছর পূর্বে তেকাটিয়ায় (ফকিরহাট) প্রথম শিরিনাকে বিয়ে করে, যার ৬টি সনত্মান রয়েছে। পরবর্তীতে মংলা মিঠাখালীর হাফেজা ফিরোজা বেগম (৩৫), রূপসার হেনা (৩০) এবং সর্বশেষ আনন্দনগর গ্রামের কিশোরী (১৭) কে প্রহসনমূলক বিয়ের মাধ্যমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। ধৃত সুচতুর এলাহি বক্স নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ হিসেবে পরিচয় দিয়ে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশ জানায়। গতকাল ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মৃত শহর আলীর পুত্র ধৃত এলাহি বক্সকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন, যার নং-১৩, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০৩ সংশোধনী) ৯ (১) দঃ বিঃ। এ সময় রূপসা থানায় তার প্রথম স্ত্রী বাদে বাকি সকল স্ত্রীকে দেখা যায়।

অভয়নগরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ নির্মমভাবে নির্যাতিত

ফেব্রুয়ারী 18, 2011

॥ অভয়নগর প্রতিনিধি ॥

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ গোলাপী (২৮) স্বামীর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। নিষ্ঠুর স্বামী রাতে বেস্নড দিয়ে খুঁচিয়ে তার গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লবণ লাগিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাতে উপজেলার হিদিয়া গ্রামে। গত সোমবার সকালে ওই নির্যাতিত গৃহবধূ অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর থানা পুলিশের সহায়তায় অভয়নগর উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সে ভর্তি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের বারিক মোল্যার মেয়ে গোলাপী বেগমের সাথে একই উপজেলার হিদিয়ার হুমায়ুন শেখের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক লোভী স্বামী একের পর এক যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। দাবি পূরণ করতে না পারায় গত রোববার গভীর রাতে লেপ দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে যৌতুকলোভী স্বামী তার গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় বেস্নড দিয়ে খুঁচিয়ে মারাত্মক জখম করে লবন লাগিয়ে দেয়। গত সোমবার সকালে স্বামী কর্মস’লে গেলে ওই গৃহবধূ পালিয়ে অভয়নগর থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিনা মজুমদার ও অভয়নগর থানার ইন্সপেক্টর (তদনত্ম) মিঠু রানী দাস তাকে দেখতে যান ।

যৌন হয়রানি: তরুণের কারাদন্ড

ফেব্রুয়ারী 18, 2011

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফেব্রম্নয়ারি ১৮।- চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমসত্মাপুরে যৌন হয়রানির অপরাধে এক তরম্নণকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিডিনিউজ জানায়: বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম রবিউল ফয়সাল এ আদেশ দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তের নাম তাজুল ইসলাম (১৮)। তিনি রহনপুর পৌর এলাকার মকরোমপুর মহলস্নার বাসিন্দা। গোমসত্মাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, তাজুল প্রায়ই প্রসাদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতেন। এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর বাবা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউএনওকে অভিযোগ করেন।ইউএনও তাজুলকে তার কার্যালয়ে ডেকে আনেন এবং উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তাজুলকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।

চিতলমারীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

ফেব্রুয়ারী 19, 2011

॥ নিজস্ব সংবদাদাতা ॥

নালুয়া(চিতলমারী)॥- উপজেলার পরানপুর গ্রামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় থানা পুুলিশ ঘটনাস’ল হতে লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
থানা সূত্রে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পরানপুর গ্রামের দীন মজুর শাহাদাৎ হোসেনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে (২৫) গলায় গামছা জড়ানো অবস’ায় ঘরের মধ্য হতে পুলিশ উদ্ধার করে।  এ সময় সাবিনা ইয়াসমিনের ভাই হায়দার (১০) পার্শ্ববর্তী দোকান হতে বাড়ি ফিরে ঘরের আড়ার সঙ্গে তার বোনকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী ফজর আলী এসে গামছা খুলে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। ইতোমধ্যে সাবিনা মারা যায়। প্রতিবেশীদের অভিযোগে, প্রায়ই পারিবারিক কলহের কারণে দিনমজুর স্বামী শাহাদাৎ হোসেন তাকে গলাটিপে হত্যা করেছে এবং ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে। সাবিনার স্বামী পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে চিতলমারী থানায় ১৮ ফেব্রম্নয়ারী ৬২৮ নং জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। ময়না তদনেত্মর রিপোর্ট না পাওয়া পর্যনত্ম তদনত্ম কর্মকর্তা এস,আই মুন্সী আবু কুদ্দুস কোন মনত্মব্য করতে রাজি হননি।

রাজধানীতে সংসদ সদস্যের এসএসসি পরীক্ষার্থী কন্যাকে অপহরণ

ফেব্রুয়ারী 20, 2011

॥ঢাকা ব্যুরো থেকে॥

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক এসএসসি পরীড়্গার্থী অপহৃত হয়েছে। অপহৃত এসএসসি পরীড়্গার্থী কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের মেয়ে। সে খিলগাঁও হাইস্কুল থেকে এবারের এসএসসি পরীড়্গায় অংশ নিচ্ছে। অপহরণের ঘটনায় সংসদ সদস্য নিজে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় অপহরণকারী হৃদয়(২৪), মনির (৩০), জাকির(৫৫) ও হৃদয়ের মাকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৬/৪, সেগুনবাগিচার হাসিনূর কটেজের বি-৪ ও বি-৫ ফ্ল্যাটে আফজাল হোসেনের বাসা। শনিবার রাত ৯ টার দিকে হৃদয় তার সহযোগীদের নিয়ে মেয়েকে অপহরণ করে। ঐসময় অপহরণকারীরা একটি প্রাইভেট কারে করে তাকে নিয়ে যায়। তার মেয়ে এবারের এসএসসি পরীড়্গায় অংশ নিচ্ছে। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, একজন সংসদ সদস্যের মেয়ে অপহরণ হয়েছে। তাকে উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

কলেজছাত্রীর মৃত্যু, হত্যার অভিযোগ

ফেব্রুয়ারী 20, 2011

॥ ঢাকা ব্যুরো থেকে ॥

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের এক কলেজছাত্রীকে তার স্বামী বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃতের নাম জান্নাতুল নাঈমা (২১)। তিনি মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
সূত্র জানায়, রোববার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাঈমার মৃত্যু হয়। তার স্বামীর নাম জসিম উদ্দিন। নাঈমা মোহাম্মদপুর বিজলী মহলস্নায় তার মায়ের বাড়িতে থাকতেন। নাঈমার মা রাবেয়া বেগম বলেন, শনিবার দুপুরে জসিম ফোন করে নাঈমাকে ডেকে নেয়। রাতে নাঈমা বাসায় ফেরে। তিনি বলেন, “ফেরার পর নাঈমাকে অস্বাভাবিক এবং তার মুখে লালা দেখতে পেয়ে তাকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স’ানানত্মর করা হয়।”
নাঈমাকে কৌশলে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে বলে রাবেয়ার দাবি।  তিনি বলেন, দুই বছর আগে নিজের পছন্দে জসিমকে বিয়ে করেন নাঈমা। তবে জসিম বেকার হওয়ায় তাদের ঝগড়া-ঝাটি লেগে থাকতো। গত ছয় মাস আগে নাঈম ও জসিমের সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে বলে রাবেয়া জানান।
এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জোবায়দুল ইসলাম  বলেন, রাবেয়া থানায় এসে ঘটনাটি জানিয়েছেন। ঘটনাটি তদনত্ম করা হচ্ছে। ময়না তদনেত্মর জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশের বাসা থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার

ফেব্রুয়ারী 20, 2011

 

বরিশাল, ২০ ফেব্রম্নয়ারি।- বরিশাল নগরীতে এক পুলিশ সদস্যের বাসা থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিডিনিউজ জানায়: রোববার সকালে নগরীর আলেকান্দা রোড এলাকার সিএন্ডবি কোয়ার্টারের দ্বিতীয় তলায় বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শকের (এসআই) বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলনত্ম অবস’ায় রাবেয়া বসরীর (১৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। রাবেয়া খুলনার রূপসার উপজেলার ভাঙ্গা গ্রামের শেখ মোসাদ্দেক আলীর মেয়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স ’ানীয়রা রাবেয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেও পুলিশ বলছে রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে। স’ানীয়রা জানায়, এসআই শেখ বেলস্নার হোসেন বরগুনা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) বদলি হয়েছেন। তার স্ত্রী নাদিরা আক্তার বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ নার্স। গৃহকর্মী রাবেয়াকে তারা প্রায়ই মারধর করতেন এবং বাসা থেকে বের হতে দিতেন না বলে স’ানীয়রা অভিযোগ করেছে। তাদের ধারণা, রাবেয়া শারীরিক নির্যাতনে মারা গেছে। পরে তাকে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে পুলিশ।
শারীরিক নির্যাতনে মারা যাওয়ার বিষয়টি নাকচ করে কোতয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইদ বলেন, রাবেয়া ওই বাসায় থাকতে চাইতো না। বাসার কর্তা ও কর্ত্রী উভয়ে চাকরিজীবি হওয়ায় তাকে গ্রামের বাড়ি পাঠাতে পারেনি। এ কারণে সে রাগ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, রাবেয়ার লাশ ময়না তদনেত্মর জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কোতয়ালি মডেল থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাবেয়ার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদনেত্ম হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেলে হত্যা মামলা নেওয়া হবে।