Pages

hv‡`i Kv‡Q K…ZÁ : Avgv‡`i ewikvj / ˆ`wbK c~e©vPj / Avgv‡`i mgq WUKg /
†iRvë ‡`wL‡Z PvB‡j GLv‡b wK¬K K‡iv

Saturday, February 5, 2011

February Date-(1-10)



দোররায় কিশোরীর মৃত্যু, আটক

শরীয়তপুর, ফেব্রম্নয়ারি ০১।- শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পরকীয়া বিষয়ক সালিশে ফতোয়াবাজদের দোররার শিকার এক কিশোরীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত কিশোরীর নাম হেনা আক্তার (১৪)
বিডিনিউজ
জানায়: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক চারজন হলেন- ানীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. মফিজ, শিল্পী আক্তার, ানীয় মাতাব্বর লতিফ মীর মালত আলাবক্স করাতী। যার সঙ্গে হেনার সম্পর্ক রয়েছে বলে যে অভিযোগ সেই মাহবুব হোসেন (৩৫) ঘটনার পর থেকেই পলাতক। এছাড়া ফতোয়াবাজির হোতা হিসেবে অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইদ্রিস শেখও পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার
ময়নাতদনত্ম শেষে হেনার লাশ দাফন করা হয়েছে। সে উপজেলার চামটা ইউনিয়নের চামটা গ্রামের দরবেশ খানের মেয়ে।


ভান্ডারিয়ায় গৃহবধূকে অপহরণের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার


গতকাল বুধবার ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ মুক্তা নামের এক গৃহবধূকে অপহরণের অভিযোগে ানীয় ছাত্রদল নেতা  মোঃ শামীম (২৫) কে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ মামলার এজাহ সূত্রে জানা গেছে, উক্ত গৃহবধূ মুক্তা গত শুক্রবার বিকেলে রিকশাযোগে উপজেলার তেয়ারীপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ী যাওয়ার পথে ভান্ডারিয়া-কাঁঠালিয়া সড়কের পূর্ব ভা-ারিয়া নামক ানে তাকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসযোগে ঢাকায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে অপহৃতা মুক্ত হয়ে গতকাল বুধবার ভা-ারিয়া থানায় হাজির হলে ঘটনায় অপহৃতার পিতা ভা-ারিয়া থানার ঝাড়ুদার মোঃ সেলীম বাদী হয়ে জনকে আসামী করে ভা-ারিয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে

মনিরামপুরে স্কুল ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে যুবক আটক

মনিরামপুর অফিস।।

মনিরামপুর(যশোর): মনিরামপুর উপজেলার এক গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করায় নড়াইল কোতয়ালী থানার বাঁধাল গ্রাম থেকে পুলিশ সঞ্জীবন (২০) নামের এক যুবককে শুক্রবার রাতে আটক করে। গত ১৩//১১ তারিখে স্কুলে যাবার পথে জন মিলে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে। ব্যাপারে সঞ্জীবনসহ জনের নামে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের /৩০ ধারায় মনিরামপুর থানায় মামলা হয়েছে। যার নং-০৩() ১১/ মামলার আইও আকরাম হোসেন চৌধুরী শুক্রবার অভিযান চালিয়ে মূল অপহরণকারীকে আটক করেন

সাংসদ শেখ সেলিমের ভাগ্নী অপহরণের পর উদ্ধার

ঢাকা ব্যুরো থেকে॥
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ভিকারম্নন নিসা নুন স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী অপহৃত হবার ২৪ ঘন্টা পর পুলিশ স্কুল ছাত্রীকে গোপালগঞ্জের বাবুগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে। পুলিশ অপহরণকারী তৌহিদুল ইসলাম খোকন(২৬) কে গ্রেফতার করেছে। অপহৃত স্কুল ছাত্রী গোপালগঞ্জের সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের ভাগ্নী।
বাড্ডা থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোসত্মাফিজুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ বস্নকের নম্বর রোডের ৩৯৮ নম্বর বাড়ি সামনে থেকে স্কুল ছাত্রী রম্নকাইয়া ইকবাল তৌশিকে খোকনসহ / জন যুবক অপহরণ করে। তৌশির বাবা বদরম্নল ইকবাল রাজস্ব বোর্ডের একজন পদসকর্মকর্তা। অপহরণকারীরা তৌশিকে অপহরণ করে গোপালগঞ্জের বাবুগঞ্জে নিয়ে যায়। ঘটনায় তৌশির বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
পুলিশ আরো জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি মেয়েটির সঙ্গে তৌহিদের পরিচয় হয়। এরপর থেকে অপহরণকারী ছেলেটি তাকে বিরক্ত করতো। তার বিরম্নদ্ধে এর আগেও অপহরণের মামলা ছিল। ওই মামলায় তৌহিদুল ইসলামের পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল। গোপালগঞ্জের বাবুগঞ্জে তার বাড়ি।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে  গোপালগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তৌশিকে উদ্ধার করে। পুলিশ অপহরণকারী খোকনকে গ্রেফতার করেছে

নগরীতে পালিত কন্যা ধর্ষণ, পিতা গ্রেফতার

।। স্টাফ রিপোর্টার।।

নগরীর টুটপাড়া গেদনপাড়া এলাকা পিতা শহীদুল ইসলাম (৪২) তার পালিত কন্যাকে (১৭) ধর্ষণ করেছে। শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় ঘটনা ঘটে।
 
খুলনা
সদর থানার ওসি মুনীর-উল-গীয়াস জানান, পালিত কনযাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে নিজ ঘরের মধ্যে ধর্ষণ করে পাষন্ড পিতা। পরে তার চিকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে পালিত পিতাকে গ্রেফতারপূর্বক খুলনা সদর থানায় হসত্মানত্মর করা হয়। ঘটনায় পালিত কন্যা বাদী হয়ে খুলনা থানায় একটি মামলা করে।



বাজুয়ার পল্লীতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাজুয়া(দাকোপ) খুলনাঃ উপজেলার সাহারাবাদ এলাকায় ছন্দা মন্ডল (১৮) নামের এক নববধূকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
নিহত
গৃহবধূ ছন্দা মন্ডলের পিতা বিমল বাছ জানান, মাস পূর্বে সাহারাবাদ এলাকার মৃত হরিপদ মন্ডলের পুত্র স্বপন মন্ডলের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের - মাস পর থেকে স্বামী, শাশুড়ী, ননদসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতন চালাতে থাকে। এরই জেরধরে গত ফেব্রম্নয়ারী বুধবার বিকাল ৫টায় তারা লোকমুখে জানতে পারেন তার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে যেয়ে দেখা যায় ঘরের মধ্যে লাশ পড়ে আছে এবং লাশের হাতের শাখা ভাঙ্গা বুকে যখম রয়েছে। পুলিশ জানায়, বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদনেত্মর রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস গ্রহণ করা হবে




পাটকেলঘাটায় যৌতুকের স্বীকার হতভাগী ফতেমা

  পাটকেলঘাটা(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি।।

পাটকেলঘাটায় এক অসহায় পিতার কন্যাকে যৌতুকের দাবিতে দিন ঘরে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে পাষ- স্বামী। সংবাদ জানতে পেরে পিতা তার আত্মীয়-স্বজন জামাইয়ের বাড়ীতে গিয়ে ানীয় প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় আহত কন্যাকে রক্তাক্ত অবসায় উদ্ধারপূর্বক পাটকেলঘাটা মৌসুমী ক্লিনিকে ভর্তি করেছে। জানা যায়, পাটকেলঘাটা থানার আচিমতলা গ্রামের দিনমজুর লেবার আব্দুল গফফারের কন্যা ফতেমা (২৫) কে গত বছর পূর্বে তালা থানার সুজনশাহা গ্রামের কেয়ামুদ্দীন সরদারের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক(২৮)’ সাথে মুসলিম শরিয়াত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পরে দাম্পত্ত জীবন কিছুদিন সুখী হলেও পরবর্তীতে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতিত হতে থাকে অসহায় গৃহবধূ ফতেমা। এরই মধ্যে তাদের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করে একটি ফুটফুটে কন্যা সনত্মান। কন্যা সনত্মান জন্ম নেয়ায় যৌতুকলোভী স্বামী নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে আরো বেপরোয়হয়ে ওঠে। সময় অসহায় পিতা তার কন্যাকে নিজের বাড়ীতে এনে যৌতুকের টাকা পরিশোধ করে পাঠিয়ে দিবে বলে জানায়। পরবর্তীতে সরম্নলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের উপসিতিতে যৌতুকলোভী স্বামী আর কখনও যৌতুক দাবি করবে না এই মর্মে আবারও ফতেমাকে শ্বশুরবাড়ীতে পাঠানো হয় কিনভবঘূরে আব্দুর রাজ্জাক প্রায়ই তাকে আবারও টাকার জন্য মারপিট করত। এর মধ্যে শিশু কন্যাটির বয়স দেড় বছরে পৌঁছায়। গত শুক্রবার রাতে বাজার থেকে বাড়ী গিয়ে আব্দুর রাজ্জাক উম্মাদনা অবসায় অসহায় গৃহবধূকে বেপরোয়া মারপিটপূর্বক ঘরে আটকে  রাখে। সংবাদ জানতে পেরে গত শনিবার অসহায় পিতা ফতেমার মা জামাইয়ের বাড়ীতে গিয়ে মেয়েকে দেখার জন্য আকুতি করলেও নিষ্ঠুর জামাই, তার মা বাবা তাদের মেয়েকে না দেখিয়ে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। অসহায় পিতা বাড়ীতে ফিরে এসে গতকাল দুপুরে স্বজনসহ ানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে ানীয় প্রতিবেশীদের সহযোগীত অভূক্ত ফতেমাকে উদ্ধার করে পাটকেলঘাটার ক্লিনিকে ভর্তি করেছে। ফতেমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় স্বামী, শ্বশুর ভাসুর হাতেম আলী তার কোলের দেড় বছরের শিশু কন্যাকে ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানাই


রামপালে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফয়লাহাট(রামপাল)- রামপালে জোরপূর্বক এক গৃহবধূর শস্নীলতাহানি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে থানায় এজাহার করেছেন।
 
জানা
গেছে, উপজেলার কুমলাই এলাকায় জনৈক ব্যক্তির স্ত্রীকে একই এলাকার মৃত. ইয়াসিন সরদারের লম্পট পুত্র সরদার বাকি বিলস্নাহ (৩৫) বেশ কিছুদিনধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
 
এদিকে
ঘটনার দিন গত ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় বাকি বিলস্নাহ ওই গৃহবধূকে একা পেয়ে জোরপূর্বক তার শস্নীলতাহানি ঘটায়। এসময় তার চিকারে লোকজন ছুটে আসার আগে বাকি বিলস্নাহ পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই গৃহবধূকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়ে মারলে সে আহত হয়। পরে তাকে রামপাল থানা স্বাস্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়



মনিরামপুরে পুলিশ কর্তৃক অপহৃতা উদ্ধার

।। রিপন হোসেন সাজু।।

 নেহালপুর (মনিরামপুর, যশোর) গতকাল দুপুরে বাজিতপুর গ্রাম থেকে পুলিশ এক অপহরণকারীকে আটক করে অপহৃতা এস.এস.সি পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এদেরকে মনিরামপুর থানায় রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উদ্ধারকারী অফিসার এস, আই বাবুল আক্তার জানান, নাটোর জেলার বাগতিপাড়থানার  দোবিলা গ্রামের এক এস.এস.সি পরীক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে কৌশলে অপহরণ করে বাড়িতে আটক  রেখে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়ায় বাজিতপুর গ্রামের মৃত শিবপদ বিশ্বাসের পুত্র সমর বিশ্বাস (৪০) কে আটক করে অপহৃতাকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃতা জানায়, সমর বিশ্বাস মোবাইলে তার সঙ্গে প্রেম করে ৬ই ফেব্রম্নয়ারী বিকালে কৌশলে তাকে তার বাড়িতে এনে শাখা সিঁদুর পরিয়ে ানীয়দের কাছে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়। ানীয়রা জানায়, সমর বিশ্বাস ইতোপূর্বে লক্ষ্মী রানী স্মৃতি বিশ্বাসকে বিয়ে করে। এদের মধ্যে লক্ষ্মীর সঙ্গে সমরের বিচ্ছেদ হলে সমর তার শ্বশুর গোপালকে চুরিকাঘাত করে আহত করে। এই বিষয়ে ওসি মতিউর রহমান বলেন, আটক সমরের নামে বাগতিপাড়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হচ্ছে। এই মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়া হবে



জামালপুরে স্কুলছাত্রীকে জবাই

জামালপুর, ফেব্রম্নয়ারি ০৭।- জামালপুরের ইসলামপুরে এক স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতের
নাম নিপা (১০) চতুর্থ শ্রেণীতে পড়-য়া নিপা গাইবান্ধা ইউনিয়নের চর সরকারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ উজজ্বলের মেয়ে। রোববার রাতে বাড়ির পাশেই খুন হয় সে।
বিডিনিউজ
জানায়: ইসলামপুর থানার ওসি রমজান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “উজ্জ্বল মেয়েকে নিয়ে ানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলো। পথে সন্ত্রাসীরা উজ্জ্বলকে ধাওয়া করে। তাকে ধরতে না পেরে নিপাকে গলা কেটে হত্যা করে যায় তারা
পুলিশ
বলছে, প্রতিবেশী দুই পরিবারের ঝগড়া-বিবাদের জের ধরে হত্যাকান্ড ঘটেছে। ওই বিরোধের সালিশে উজ্জ্বল এক পক্ষে সাক্ষ্য দেন। এতে অন্য পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যাকান্ড ঘটায়। ঘটনায় মামলার প্রসতি চলছে বলে পুলিশ জানায়। ময়না তদনেত্মর জন্য লাশ জামালপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে



তালায় অমানুষিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ফতেমা

শেখ আব্দুল হাই

পাটকেলঘাটা(সাতক্ষীরা):তালায় যৌতুকের দাবিতে দিন ঘরে আটকে রেখে ফতেমা নামের এক গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে পাষন্ড স্বামী। সংবাদ জানতে পেরে ফতেমার পিতা ানীয় লোকজন সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবসায় ফতেমাকে স্বামী রাজ্জাকের ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করে তালা স্বাস্য কমপেস্ন্লক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত   ফেব্রম্নয়ারী সন্ধ্যায় উপজেলার সুজনশাহা গ্রামে।
বছর আগে তালা উপজেলার আচিমতলা গ্রামের দিনমজুর আব্দুল গফফারের কন্যা ফতেমার (২৫) সাথে একই উপজেলার সুজনশাহা গ্রামের কেয়ামুদ্দীন সরদারের পুত্র আব্দুর রাজ্জাকের (২৮) বিয়ে হয়।
নির্যাতিতা
ফাতেমা বলেন, বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন কিছুদিন সুখ-শানিত্মতে কেটেছে। এসময় তাদের ঘরে জন্ম নেয় ফুটফুটে কন্যা সনত্মান। সনত্মান হওয়ার পর থেকে ফতেমার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় স্বামী। স্বামীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে তার অসহায় পিতা ফতেমাকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপসিতিতে যৌতুকলোভী স্বামী আর কখনও যৌতুক দাবি করবে না মর্মে মুচলিকা দিয়ে আবারও ফতেমাকে শ্বশুরবাড়নিয়ে যায় রাজ্জাক। কিনভবঘূরে স্বামী আব্দুর রাজ্জাক আবারও যৌতুকের জন্য তাকে মারপিট করত।
ফতেমার
পিতা আব্দুল গফফার বলেন, শনিবার জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে দেখার জন্য আকুতি করলেও নিষ্ঠুর জামাই, তার মা-বাবা তাদের মেয়েকে না দেখিয়ে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। অসহ পিতা বাড়িতে ফিরে এসে গত ফেব্রম্নয়ারী দুপুরে স্বজনসহ ানীয় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ফতেমাকে উদ্ধার করে তালা স্বাস্য কমপেস্ন্লক্সে ভর্তি করে। ফতেমাকে উদ্ধার করে ফেরার সময় স্বামী, শ্বশুর ভাসুর হাতেম আলী তার কোলের দেড় বছরের শিশু কন্যাকে ছিনিয়ে  নেয়। িপোর্ট লেখা পর্যনত্ম তালা থানায় মামলার প্রসতি চলছিল



সাতক্ষীরায় কলেজ ছাত্রীকে প্রকাশ্যে টানাহেঁচড়া করলো দুই ইভটিজার

সাতড়্গীরা প্রতিনিধি

সাতড়্গীরায় দিবা-নৈশ কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী ইভটিজিং-এর শিকার হয়েছে। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় শহরের দিব-নৈশ কলেজের সামনে ঘটনা ঘটেছে। ইভটিজিং-এর শিকার কলেজ ছাত্রী (১৬) বাদী হয়ে দুই ইভটিজারের নামে সাতড়্গীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামীরা হলো, সাতড়্গীরা সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের দিলীপ কর্মকারের ছেলে সনজিকর্মকার (২৫) একই এলাকার  দিপু কর্মকার (৩২)
এদিকে
বিকালে মামলা দায়েরের সময় ইভটিজিং-এর শিকার কলেজ ছাত্রীর নিকট আত্মীয় দৈনিক জনতার সাংবাদিক কালিপদ দাশকে থানার ডিউটি অফিসারের রম্নমে রকাশ্যে জীবনাশের হুমকি দিয়েছে ইভটিজারের আত্মীয় মাগুরা গ্রামের হরেপ্রসাদ কর্মকার তার লোকজন। এঘটনায় সাংবাদিক কালিদাশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে।
সাতড়্গীরার
সদর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই গঙ্গারানী জানায়, সদর থানার মাগুরা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কলেজ পড়-য়া মেয়ে (১৬) সকালে শহরের দিবানৈশ কলেজের ক্লাস শেষে কলেজ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ইভটিজার সনজিকর্মকার দিপুকর্মকার অসউদ্দেশ্যে তাকে টানা-হেচড়া শুরম্ন করে তার শস্নীলতাহানী ঘটায়। সময় তার আর্তচিকারে লোকজন ছুটে এলে ইভটিজাররা পালিয়ে যায়। সাতড়্গীরা সদর নার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজান আলী খান জানান, আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে


মাদারীপুরে বাসর রাত থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্রী উদ্ধার, বখাটে গ্রেফতার

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর সৈকত হোটেলের ম্যানেজার আনিছ উদ্দিনের মেয়ে সরকারী নাজিমউদ্দিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী রেজওয়ানা ছোঁয়াকে (১৮) ইটেরপুর এলাকার সায়েদ মৃধার বখাটে ছেলে উজ্জল মৃধা মঙ্গলবার রাতে বাসর ঘর থেকে অপরহরণ করে নিয়ে যায়। বুধবার সকালে পুলিশ ফরিদপুর থেকে ছোয়াকে উদ্ধার বখাটে উজ্জল মৃধাকে গ্রেফতার করেছে।
ছোঁয়ার
মা আনোয়ারা বেগম জানিয়েছে, কলেজে ভর্তি হবার পর থেকেই বখাটে উজ্জল ছোঁয়াকে বিরক্ত করতে থাকে। সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে ব্যাপারটি গোপণ রাখা হয়। এক পর্যায় উত্ত্যক্ত বেড়ে গেলে ছোঁয়ার কলেজ যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার চরমুগরিয়া এলাকার সরোয়াদী নামের ইংল্যান্ড প্রবাসীর সাথে বিয়ে হয়। মঙ্গলবার ৪নং শকুনি এলাকায় মেয়ের বাড়িতে বসে বাসর রাতে উজ্জলের নেতৃত্বে / জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে। এসময় তারা ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছোঁয়াকে অপরহরণ করে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস পরিদর্শন করে। বুধবার সকালে ফরিদপুর থেকে অড়্গত অবসায় ছোঁয়াকে উদ্ধার উজ্জল মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়।
ছোঁয়
মা আনোয়ারা বেগম আরো বলেন, আমার মেয়ে কলেজে যাবার পর বখাটে উজ্জল উত্ত্যক্ত করে। ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলতো না। এক পর্যায় কলেজ যাওয়া বন্ধ হলেও পারিবারের কথা চিনত্মা করে পুলিশকে জানানো হয়নি।
বাবা
আনিছউদ্দিন ফরাজী বলেন, বখাটে উজ্জলের ভয়ে মেয়ের পড়াশুনা প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমার মেয়েকে আমি অড়্গত অবসায় ফিরে পেয়েছি। তবে বখাটের শাসিত্মর দাবি জানায়।
মাদারীপুর
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কায়ূম আলী সরদার বলেন, সকালে ফরিদপুর থেকে অড়্গত অবসায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বখাটে উজ্জলকেও গ্রেফতার করে হয়েছে


আশাশুনিতে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, মোবাইল কোর্টে মাসের জেল

নিজস্ব সংবাদদাতা

আশাশুনি(সাতক্ষীরা)- আশাশুনিতে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মোবাইল কোর্টে বখাটে শাহীনকে মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত্র ১০ টার দিকে শোভনালী ইউনিয়নের শরাফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী পড়া শেষে প্রতিদিনের ন্যায় ব্যাংদহা বাজারে পিতার দোকানে যায়। সেখানে পিতা না থাকায় সে পার্শ্ববর্তী দেবহাটা উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আঃ আজিজ মিস্ত্রীর পুত্র ভ্যানচালক শাহীন ভ্যানে বাড়ি ফিরছিল। শরাফপুর গ্রামের লক্ষণের বাড়ির কাছে পৌঁছলে শাহীন তাকে জোরপূর্বক পাশের বাগানে টেনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শিশু চিকার দিলে এবং কোন রকমে তার কাছ থেকে নিজকে ছাড়িয়ে দৌড় দিলে পাশের লোকজন ঘটনাসলে যায়, ততক্ষণে শাহীন পালিয়ে যায়। এলাকার কজন তাকে বাড়ি থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অপরাধের কথা স্বীকার করে। গণপিটুনি শেষে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে থানায় আনা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গিয়াস উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাহীনকে উপরোক্ত সাজা প্রদান করেন


মনিরামপুরে অনার্স পড়ুয়া ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, এক জনকে আটক

।। মোঃ মনিরম্নজ্জামান/রিপন হোসেন সাজু।।


মনিরামপুর(যশোর) গতকাল সকাল ১১টার দিকে মুক্তেশ্বরী-টেকা নদীর ধারে পাঁচাকড়ি গ্রামের রাজবংশী পাড়ার অনার্সপড়-য়া যুবতী ববিতা বিশ্বাস (২২) কে ধারালো গাছি দা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। একই গ্রামের কার্ত্তিক বিশ্বাসের স্ত্রী অনিমা বিশ্বাস (৩৫) পূর্ব আক্রোশ মেটাতে প্রকাশ্য এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করে। পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে।
পুলিশ
ানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচাকড়ি রাজবংশী পাড়ার বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের কন্যা নওয়াপাড়া ডিগ্রী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী ববিতা বিশ্বাস সকালবেলা নদীর ধারে বাসন পত্র পরিষ্কার করার কাজ করছিল। সময় পূর্ব আক্রোশ মেটাতে অনিমা বিশ্বাস ধারালো গাছি দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ববিতাকে ঘটনাসলে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নদীর অপর পাশে থাকা লোকজন ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। বেলা ১২টার দিকে ওসি মতিউর রহমানের নেতৃত্বে একদল ফোর্স ঘটনাসলে গেলে ানীয়রা ঘটনার জন্য অনিমা বিশ্বাসকে দায়ী করে। তাক্ষণিকভাবে পুলিশ অনিমাকে আটক করে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত  গাছি দা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। ানীয় সূত্রমতে, মশিয়াহাটি ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পড়-য়া এক যুবকের সঙ্গে অষ্টম শ্রেণী পড়-য়া কন্যার অনৈতিক কর্মকান্ডের সহায়তা করত অনিমা। বিষয়টি নিহত ববিতা ফাঁস করে দেয়ায় অনিমা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। সে ইতোপূর্বে ববিতার সঙ্গে এই নিয়ে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয় এবং ববিতাকে খুন করার হুমকি দেয়। ঘটনার দিন ববিতা একাকি নদীর ধারে নিজ কাজে ব্যসত্ম থাকলে সুযোক বুঝে অনিমা পিছন দিক থেকে তাকে আক্রমন করে হত্যা করে। ব্যাপারে মামলার প্রসতি চলছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদনেত্মর জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। ৩টার দিকে সহকারি পুলিশ সুপার () সার্কেল আনিচুর রহমান ঘটনাস পরিদর্শন করেন।
বিষয়ে ,এস,পি সার্কেল () মোবাইলে প্রতিবেদককে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনার থেকে আক্রোশের সৃষ্টি হওয়ায় অনিমা বিশ্বাস হত্যাকান্ড ঘটায়। এজন্য তাকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে জানার জন্য ওসিকে কয়েকবার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি
 

কলারোয়ায় অপহৃতা কিশোরী উদ্ধার, গ্রেপ্তার

।। নিজস্ব সংবাবাদদাতা।।

কলারোয়া(সাতক্ষীরা) অপহরণের ১৪ দিন পর এক কিশোরীকে গত বুধবার রাতে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। একই সাথে পুলিশ অপহরণের সাথে জড়িত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ওই কিশোরীর নাম খাদিজা ইয়াসমিন সোনিয়া (১৬) সে কলারোয়া উপজেলার পাঁচনল গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। তার চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ইনামুল হক (পিপিএম) জানান, কলারোয়া গার্লস পাইলট হাই স্কুলের ছাত্রী সোনিয়া গত ২৭ জানুয়ারী  সকাল ১০টার দিকে স্কুলে আসার পথে অপহৃত হয়। এরপর গত ৩১ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সোনিয়া তার মায়ের মোবাইলে (০১৭১০-৩৯০৭৫১) ফোন করে জানায়, তাকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা সদরের চামটাইল গ্রামে এক বাড়িতে আটক করে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ওই দিনই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সোনিয়ার ভাই রবিউল ইসলাম, শৈলকূপায় থাকা তার ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান  বোন সেতারা ওই ঠিকানায় যান। সেখানে আব্দুল গফুরের বাড়িতে রবিউল তার বোনের সন্ধান জানতে চাইলে বাড়ির মালিক আব্দুল গফুর কোন সহযোগিতা করেনি। পরে রবিউল ইসলাম কলারোয়া থানায় এসে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার জনকে অভিযুক্ত করে লিখিত এজাহার দেয়।  এদিকে এজাহার পাওয়ার পর পুলিশ অভিযানে নেমে গত ফেব্রম্নয়ারী ানীয় থানার সহায়তায় চামটাইল গ্রাম থেকে কলারোয়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে অপহৃতা সোনিয়াকে। একই সাথে পুলিশ অপহরণের মূল নায়ক শৈলকূপা সদরের চামটাইল গ্রামের আব্দুল গফুর মন্ডলের ছেলে আল আমিন (১৯)কে গ্রেপ্তার করে তার বাড়ি থেকে।

উদ্ধারকৃত কিশোরী জানায়, অপহরণকারী আল আমিনের বাড়ি শৈলকূপার চামটাইল গ্রামে তার ভগ্নিপতির বাড়ির পাশে। সুবাদে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে আল আমিন তার বোনের অসুখের কথা বলে তাকে চামটাইল গ্রামে অনৈতিক উদ্দেশযে নিজ বাড়িতে আটক রেখেছিল। ঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা (নং ০৬ ) হয়

0 comments:

Post a Comment